—প্রতীকী চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্যাতিতারই প্রতিবেশী। ঘটনাটি ঘটেছিল শুক্রবার সকালে। অভিযোগ, সেই দিন মহিলার বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে ওই ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর মহিলার সন্তানকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে প্রথমে ভয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাননি। পরে মনে সাহস জুগিয়ে রবিবার রাতে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি এখনও অধরা। ঘটনার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা। তাঁরা বলছেন, “ওকে এনে দিন, জ্যান্ত পুঁতে ফেলব। পুলিশ-প্রশাসন যদি দায়িত্ব নিতে না পারে, তা হলে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে।”
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকালে নির্যাতিতার স্বামী তাঁদের সন্তানকে নিয়ে স্কুলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। ওই সময় বাড়িতে অন্য কেউ ছিলেন না। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেই সময়েই ওই প্রতিবেশী তাঁদের বাড়িতে জোর করে প্রবেশ করেন এবং তাঁকে ধর্ষণ করেন। তিনি বলেন, “স্বামী সন্তানকে নিয়ে স্কুলে চলে যাওয়ার পর আমি ঘরেই ছিলাম। ওই ব্যক্তি আমাদের পাশের বাড়িতেই থাকেন। তিনি এসে দরজায় কড়া নাড়েন। দরজা খুলতেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘরে প্রবেশ করেন। তার পর তিনি আমার সঙ্গে জোর- জবরদস্তি করেন এবং ধর্ষণ করেন।”
মহিলার দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর সন্তানের ক্ষতি করে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন। সেই কারণেই ভয়ে প্রথমে কাউকে কিছু বলেননি তিনি। পরে নির্যাতিতা তাঁর স্বামীকে ঘটনার কথা জানান এবং রবিবার রাতে স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুক্রবার সকালে ওই ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে বেপাত্তা অভিযুক্ত ব্যক্তি। তবে তাঁর স্ত্রী বাড়িতেই রয়েছেন। তিনি জানাচ্ছেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। বড় ছেলেও বাড়িতে ছিলেন না। ছোট ছেলে ঘরে ঘুমোচ্ছিল। অভিযুক্তের স্ত্রীর দাবি, সেই সময়েই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠছে। তবে তাঁর স্বামী যদি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকেন, তবে তাঁর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিযুক্তের স্ত্রীও।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তির খোঁজ শুরু হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি (ক্রাইম) ফয়জ়ল বিন আহমেদ জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy