বাজি রুখতে তল্লাশি পুলিশের। শুক্রবার, ক্যানিংয়ের পথে। নিজস্ব চিত্র।
কাল ছিল, আজ নেই। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছিল বাজি। আড়ালে আবডালে হাতবদল হচ্ছিল শব্দবাজিও। তবে আদালতের নির্দেশের পরে, শুক্রবার দুই জেলায় অনেকেই দোকানের সামনে থেকে বাজির পসরা গুটিয়ে ফেলেছেন। সামান্য কিছু জায়গায় অবশ্য এ দিনও বাজি বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। যে সব জায়গায় বাজি বসার কথা ছিল, বাতিল হয়েছে সবই। পুলিশের দাবি, কোথাও কোনও বাজি বিক্রি হচ্ছে না। বনগাঁর পুলিশ সুপার তরুণ হালদার বলেন, “বাজির বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযান চলছিল। এখন অভিযান আরও জোরদার করা হচ্ছে।’’ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় দীপাবলির আগে বাজি বাজার বসে। এ বছর ইতিমধ্যে অস্থায়ী স্টল তৈরির কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশের পরে সে সব বন্ধ। হাবড়ার আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বাজি বিক্রি হয়। এখন সব বন্ধ। বসিরহাট পূরাতন বাজারে সারি সারি বাজির অস্থায়ী দোকান তৈরি হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশর পরে পুলিশের পদক্ষেপে বাজি বিক্রি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ দিন হেমনগর থানার যোগেশগঞ্জ বাজারে দেখা গেল বিক্রেতারা বাজি গুটিয়ে ফেলছেন। দু’একটি দোকানে দেখা গেল, শব্দবাজি ও আতশবাজি এখনও সাজানো। বিক্রেতাদের দাবি, আদালতের রায় সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানেন না। ডায়মন্ড হারবার স্টেশন বাজারে এ বার কোনও বাজির দোকান বসেনি। অন্যান্য দোকানেও বাজি বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে না। তবে গোপনে বাজি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। ক্যানিং, বাসন্তী থানা এলাকার সর্বত্র বাজি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ক্যানিং শহরে রাস্তার মোড়ে মোড়ে নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিশ। বাইক ও গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি অভিযান চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy