Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Death of ex-Navy personnel

প্রাক্তন নৌসেনাকে মেরে, দেহ পাঁচ টুকরো করে লোপাট! বারুইপুরে গ্রেফতার স্ত্রী ও পুত্র

শনিবার দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম শ্যামলী চক্রবর্তী (৪৭) ও জয় চক্রবর্তী (২৫)। রবিবার ধৃতদের বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হবে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।

প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতীকী ছবি।

প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বারুইপুর শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২ ২২:০৯
Share: Save:

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এল পুলিশের। স্ত্রী ও ছেলে মিলেই খুন করেছেন ওই নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে। খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে প্লাস্টিকে মুড়ে বাড়ির অদূরে একটি জলাশয়ে ফেলে দেন তাঁরা। এমনই খবর মিলল পুলিশ সূত্রে। শনিবার দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম শ্যামলী চক্রবর্তী (৪৭) ও জয় চক্রবর্তী (২৫)। রবিবার ধৃতদের বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হবে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। ঘটনাচক্রে, নিহতের স্ত্রীই থানায় গিয়ে তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার তথ্য সামনে আসায় এই ঘটনায় অনেকেই সম্প্রতি দিল্লিতে ঘটে যাওয়া শ্রদ্ধা ওয়ালকার-কাণ্ডের ছায়া দেখছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বারুইপুরের ডিহি মদন মাল্লো এলাকার উজ্জ্বলের হাত-পা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, উজ্জ্বল রোজই মদ্যপান করতেন। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তিও হত। নিহতের ছেলে জয় একটি পলিটেকনিক কলেজে পড়েন। পড়শিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিভিন্ন কারণে প্রায়শই পরিবারে অশান্তি লেগে থাকত। গত ১৪ নভেম্বর উজ্বলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও ছেলের ব্যাপক অশান্তি হয়। সেই সময় রাগের মাথায় বাবাকে প্রচণ্ড মারধর করেন জয়। অভিযোগ, যার জেরেই উজ্বলের মৃত্যু হয়। এর পর তাঁর স্ত্রী ও ছেলে মিলে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে বাড়ির পাশের জলাশয়ে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো করাত দিয়ে সেই রাতেই উজ্জ্বলের দেহের পাঁচ টুকরো করে দু’টি প্লাস্টিকে ভোরে ডিহি মদন মাল্লো এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়।

তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, ধৃতেরা জেরায় খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন। তাঁদের জেরা করে উজ্জ্বলের দেহের বাকি অংশের খোঁজ মিলেছে। তবে ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার (সদর) মাকসুদ হাসান বলেন, ‘‘খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত চলছিল। বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখে নিহতের ছেলে ও স্ত্রীকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাঁরা দোষ স্বীকার করে নেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

navy Baruipur Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy