ধৃত দুষ্কৃতী। নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের হাতে ধরা পড়ল হাবরা থানার মছলন্দপুর এলাকার ত্রাস এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ স্থানীয় গৌরবঙ্গ রোড থেকে উৎপল মজুমদার নামে ওই দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশ। বেতপুলের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে পুলিশ প্রায় ২৬ কেজি গাঁজা আটক করেছে।
উৎপলকে পুলিশ দীর্ঘ দিন ধরে খুঁজছিল। তার গ্রেফতার পুলিশের কাছে বড় সাফল্য হিসাবেই দেখছেন জেলা পুলিশ কর্তারা। হাবরা থানার আইসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উৎপলের বিরুদ্ধে খুন-ডাকাতি, খুনের চেষ্টার মতো বহু অভিযোগ আছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশের উৎপল মূলত তোলাবাজ হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিল। পরবর্তী সময়ে সে খুন, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় হাত পাকায়। দীর্ঘদিন এলাকাকর বাইরে পালিয়ে সোনারপুরে গা ঢাকা দিয়েছিল। বিধানসভা ভোটের আগে হাবরা থানার পুলিশে রদবদল হওয়ার পরে সে ফের এলাকায় ফেরে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় ছিল উৎপল আর দলবলের মূল কাজ। মূলত হাবরা, বাদুড়িয়া, দেগঙ্গা, স্বরূপনগর এলাকায় অপারেশন চালাত সে।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর চল্লিশের উৎপল ২০১১ সালের অগস্ট মাসে মছলন্দপুর স্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় এক যুবককে গুলি করে খুনের চেষ্টা করেছিল। ওই বছরই দেগঙ্গা থানা এলাকায় বড়সড় একটি ডাকাতির ঘটনায় তার নাম উঠে আছে। ২০১৩ সালে সে অন্য এলাকা থেকে এক যুবককে খুন করে এনে মছলন্দপুর এলাকায় ফেলে রেখেছিল। হাবরা-মগরা সড়কে ট্রাক থামিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে ও গুলি চালিয়ে সে ডাকাতিও করেছিল। সব শেষে যে ঘটনায় উৎপলের নাম উঠে এসেছিল, তা হল চলতি বছরের ৪ এপ্রিল। ওই দিন স্থানীয় বাউগাছি এলাকায় বাইকে করে এসে প্রকাশ্য দিনের বেলায় সে দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ছিনতাই করে পালায়। এরপরেই পুলিশ তাকে ধরতে উঠেপড়ে লাগে।
উৎপল এ বারই প্রথম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল এমন নয়। ২০০৭ সালে প্রথমবার আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সে মাদক পাচার ও খুনের ঘটনাতেও গ্রেফতার হয়। জামিনে ছাড়া পেয়ে এসে ফের সে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy