আস্বাদ: পিঠে পুলি উৎসবে নানা ধরনের পিঠে খেয়ে উদ্বোধন করলেন বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস।— নিজস্ব চিত্র
হরেক রকম পিঠের পশরা সাজিয়ে বুধবার বসিরহাটের সাঁইপালা মুনসিবাগান এলাকায় বুধবার অনুষ্ঠিত হল পিঠে পুলি উৎসব। বসিরহাট আরবান সুসঙ্গত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্প এই উৎসবের আয়োজন করে। উৎসবের উদ্বোধন করেন বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প আধিকারিক শুভঙ্কর বণিক, পুরপ্রশাসক তপন সরকার-সহ অন্যরা। শুভঙ্কর জানান, প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত শতাধিক মহিলা দিন-রাত পরিশ্রম করে গত ৫ বছর ধরে একদিনের এই পিঠে-পুলি উৎসবের আয়োজন করে আসছেন। কম খরচে কীভাবে ঘরে বসে এমন খাবার বানানো সম্ভব তা হাতে কলমে করে দেখানো হয় এই উৎসবে।
সুসঙ্গত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের মহিলাদের তৈরি নানা রকম পিঠে এ দিন চেখে দেখার সুযোগ পান সাধারণ মানুষ। উদ্যোক্তারা জানান, হৃদয় হরণ পিঠে, গোকুল পিঠে, নাড়ুর মালাই, ঝাল পিঠে, মুগডালের পিঠে, দুধ মালাই, রস বড়া, তেলের পিঠে, বরফি মালাই, গাজর পিঠে, নারকেলের পিঠে, পাটিসাপটা, ক্ষীর পিঠে, দুধ পিঠে, ভাজা পুলি, মালাই পিঠে, সাদা পুলি, সুজির পুলি, গোলাপ পিঠে, রোজ় ফ্লাওয়ার, ঘাস ফুল পিঠে, ডিমের পিঠে, ফুচকা পিঠে-সহ প্রায় ৪২ রকমের পিঠে ছিল এ দিনের উৎসবে। দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, “এত রকমের যে পিঠে হয়, তা আগে কখনও দেখিনি। খেয়ে খুব ভাল লাগছে।”
উদ্যোক্তাদের তরফে পিঠে বানানো মহিলাদের পুরস্কৃতও করা হয়েছে এই দিন। নারকেল ক্ষীরের জামা পিঠে তৈরি করে প্রথম হন মারুফা খাতুন। দ্বিতীয় কমলিকা চক্রবর্তী তৈরি করেন ঝাল পাটিসাপটা এবং মালাই চমচম। পুমিল্লা পিঠে বানিয়ে তৃতীয় পুরস্কার পান শান্তি মল্লিক এবং সুফিয়া খাতুন। সংস্থার তরফে তাপসী সরকার, ইন্দিরা চক্রবর্তীরা জানান, আজকাল অনেক মহিলাই পিঠে তৈরি করতে পারেন না। ফলে শীতের এমন সুস্বাদু খাবার হারিয়ে যেতে বসেছে। তাকে ফিরিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy