চেকিং: নিজস্ব চিত্র
দিনরাত জেলার নানা প্রান্ত থেকে রোগী নিয়ে কলকাতার হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ছুটে চলেছে অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু যাঁরা ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। লাইসেন্স ছাড়াই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে দীর্ঘদিন ধরেই অনেকে অ্যাম্বুল্যান্স চলাচ্ছেন বলে মাঝে মধ্যে অভিযোগ উঠছে। এ বার লাইসেন্সহীন ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করল জেলা পুলিশ। সম্প্রতি জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে অভিযান।
পুলিশ-প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের ভিড় বেড়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকে আছেন যাঁরা আগে অন্য গাড়ি চালাতেন, হঠাৎ করে দেখা গেল তিনি অ্যাম্বুল্যান্স চালাতে শুরু করেছেন। সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়াও বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যাও জেলাতে বাড়ছে। বারাসত ও বনগাঁতে ইতিমধ্যেই অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় দিন কয়েক আগে কালুপুর এলাকায় যশোর রোড থেকে এক অ্যাম্বুল্যান্স চালককে গ্রেফতার করেছেন। আটক করা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতে ধরপাকড়ের সময় দেখা গিয়েছে, চালকদের কাছে লাইসেন্স নেই। অনেকে সাফাই দিয়েছেন, তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স হাসপাতাল সুপারের কাছে রয়েছে। পরে এনে দেখিয়ে যাবেন তাঁরা। আবার এমনও দেখা গিয়েছে, চালককে না পাওয়ায় এলাকার কোনও যুবক অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে রোগী নিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্স চালাতে এখন যুবকদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। তাঁদের একাংশের সঙ্গে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির যোগ রয়েছে। সেখানে রোগী নিয়ে যেতে পারলে কমিশন মেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য পুলিশের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্সের সাহায্যে অনেক সময় বেআইনি কাজকর্ম হয়। ভাস্করবাবু বলেন, ‘‘যাঁরা রোগী নিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের নিজেদের কোনও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকাটা বেআইনি কাজ। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান শুরু করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy