ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ পুলিশের। নিজস্ব চিত্র
পটল খেতে মিলল মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ। সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দীপাড়া-কুচেমোড়া এলাকায়। এখনও পর্যন্ত ওই মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ ওই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। অর্ধনগ্ন অবস্থায় ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে।
সোমবার সকালে নন্দীপাড়া-কুচেমোড়া এলাকার বাসিন্দারা বছর পঁয়ত্রিশের এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান এলাকার পটল খেতে। তাঁরা খবর দেন দেগঙ্গা থানায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ওই মৃতদেহ প্রথমে দেখেন কুতুবুদ্দিন মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁর কথায়, ‘‘সকালে এসে দেখি এখানে এক মহিলার দেহ পড়ে আছে। মৃতদেহটি অর্ধনগ্ন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। আমার মনে হচ্ছে, ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে।’
আসাদুল সর্দার নামে আর এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘ওই মহিলা আমাদের এলাকার বাসিন্দা নন। এখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি কোনও দিন। আমরা এটা ভাল ভাবে নিচ্ছি না। মৃতদেহের পাশে মদের বোতলের ছিপি পাওয়া গিয়েছে। কয়েকটা গ্লাসও পড়েছিল। আশপাশে রক্তও ছড়িয়েছিল। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।’’ পুলিশ ওই মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে পানীয়ের গ্লাস, মহিলার রক্তমাখা জামাকাপড় এবং কয়েকটি গুটখার প্যাকেট সংগ্রহ করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ওই মহিলাকে রাতের অন্ধকারে ফাঁকা মাঠে নিয়ে এসে মদ্যপান করানো হয়। ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy