জেলে বসে গুলি চালানোর ছক। — ফাইল চিত্র
নয়া মোড় নিল ব্যারাকপুরে বিরিয়ানির দোকানে গুলি চালানোর ঘটনা। ব্যারাকপুরে ‘ডি বাপি বিরিয়ানি’র দোকানের মালিক বাপি দাসকে জেলে বসে তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাপি তোলা দিতে রাজি না হওয়ায় জেলে বসেই ছক কষা হয়। এর পরেই বিরিয়ানির দোকানো চলে গুলি। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।তদন্তে উঠে এসেছে, গুলি-কাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে দমদম জেলে বন্দি সুজিত রায় নামে এক আসামি। তার বিরুদ্ধে টিটাগড়ে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লকে খুনের অভিযোগ রয়েছে। ওই কাণ্ডেই এখনও দমদম জেলে বন্দি সুজিত। এ ছাড়া কাঁকিনাড়া থেকে রাহুল বর্মা নামে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দিন কয়েক আগে ব্যারাকপুর-বারাসত রোডের ধারে ‘ডি বাপির বিরিয়ানি’র দোকানে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালায় তিন দুষ্কৃতী। ওই ঘটনায় বিরিয়ানির দোকানের এক কর্মচারী এবং এক জন ক্রেতা জখম হন। সেই সময় বাপি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, মোবাইলে একটি হুমকি ফোন এবং মেসেজ আসে। তারই সূত্র ধরে পুলিশ সুজিতের খোঁজ পায়। পুলিশের দাবি, জেলবন্দি সুজিতই তোলা চেয়ে হুমকি দিয়েছিল বাপিকে। তাতে পাত্তা না দেওয়ায় সুজিতই তার বশংবদ দুষ্কৃতীদের পাঠিয়েছিল গুলি চালানোর জন্য। দুষ্কৃতীরা সেই নির্দেশ পালন করে। তবে দুষ্কৃতীদের নিশানায় বাপি ছিল, না কি তারা ভয় দেখাতে গুলি ছুড়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy