নিহত লাল্টু হাজরা। — নিজস্ব চিত্র।
ফাঁকা বাড়ি থেকে উদ্ধার হল যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম লাল্টু হাজরা (২৬)। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনারই সোনারপুরের ফুলেরহাট এলাকার বাসিন্দা। শনিবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কামরাবাদ রেল গেটের কাছে একটি বাড়ি থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত লাল্টুর দেহ যে বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে তা ময়ূখ ভট্টাচার্য নামে এক যুবকের। কিন্তু, সেই বাড়ি ছেড়ে বর্তমানে পাটুলিতে থাকেন ময়ূখ। তার ফলে তাঁর সোনারপুরের বাড়িটি ফাঁকা পড়ে থাকত। তবে মাঝেমাঝে লাল্টু-সহ ময়ূখের কয়েক জন বন্ধু ওই বাড়িতে সময় কাটাতে যেতেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তেমনই শুক্রবার রাতে ময়ূখের বাড়িতে থাকার কথা ছিল লাল্টুর। শুক্রবার রাতেই বিশ্বনাথ সরকার নামে এক বন্ধুকেও ডেকে পাঠিয়েছিল লাল্টু। বিশ্বনাথ শুক্রবার রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন লাল্টু। এর পর তিনি ফোন করে বিষয়টি ময়ূখকে জানান। খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানাতেও। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
লাল্টুর পেটে গুলি লেগেছে। ছিন্নবিছিন্ন হয়ে গিয়েছে তাঁর একটি আঙুলও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, লাল্টুর খুব কাছ থেকে একটি গুলি চালিয়েছেন অভিযুক্ত। তবে কী কারণে ওই যুবককে খুন করা হয়েছেন, তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। শনিবার সকালে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ জেলার সুপার মিস পুষ্পার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী পরিদর্শন করে ঘটনাস্থল। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মকবুল হাসান বলেছেন, ‘‘রাত ২টো নাগাদ মৃত্যুর খবর আসে সোনারপুর থানায়। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছে যে সব সিসি ক্যামেরা রয়েছে তার ছবি খতিয়ে দেখা হয়েছে।’’ এর পাশাপাশি, জিজ্ঞাসাবাদও চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, লাল্টু নির্দিষ্ট কোনও পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কখনও তিনি দোকানে কাজ করতেন। আবার কখনও আবার ডেলিভারি বয় হিসাবেও কাজ করেছেন। তাঁকে কেন খুন হতে হল, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy