কাতার বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া দর্শকদের বিয়ার খাওয়ায় কড়া নিয়ম করেছে ফিফা। এই দৃশ্য কি দেখা যাবে ফুটবল বিশ্বকাপে? ছবি: পিক্সআবে
ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীন স্টেডিয়ামের ভিতরে একটি নির্দিষ্ট জায়গার বাইরে বিয়ার খাওয়া যাবে না বলে আগেই ঘোষণা করেছিল ফিফা। সেই নিয়মে আরও কড়াকড়ি হতে পারে। এতে স্বভাবতই বিরক্ত দর্শকরা। তার মধ্যেই ফিফার একটি পার্টির ভিডিয়ো সামনে এসেছে। সেখানে ফিফার কর্তাদের মদ খেতে দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিয়ো প্রকাশের পর থেকে ফিফার বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরও বেড়েছে দর্শকদের।
যে ভিডিয়ো প্রকাশ হয়েছে সেটি এপ্রিল মাসের। দোহাতে একটি পার্টিতে উপস্থিত হয়েছিলেন ফিফার প্রতিনিধিরা। সেখানে মদ খেতে দেখা গিয়েছিল তাদের। এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন দর্শকরা। তাঁদের প্রশ্ন, ফিফার সদস্য ও সাধারণ দর্শকদের জন্য আলাদা নিয়ম কেন? তাঁরা যদি মদ খেতে পারেন তা হলে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া সাধারণ দর্শকরা পারবেন না কেন?
এর মধ্যেই কাতারের রাজপরিবারের দাবি, বিশ্বকাপের সব স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ করতে হবে মদ বা মদ জাতীয় পানীয়ের বিক্রি। রাজপরিবারের এই দাবি বা নির্দেশ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা সম্ভব নয় বিশ্বকাপের আয়োজকদের। তাঁরা বিকল্প পথ খুঁজতে ব্যস্ত। কাতারের রাজপরিবারের হঠাৎ এমন খেয়ালে মাথায় হাত ফিফা কর্তাদেরও। কারণ বিশ্বকাপের অন্যতম প্রধান স্পনসর একটি বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা।
বিকল্প হিসাবে স্টেডিয়াম চত্বরের অস্থায়ী বিয়ারের দোকানগুলি এক ধারে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ফিফা। যাতে তুলনামূলক কম মানুষের চোখে পড়ে সেগুলি। একই সঙ্গে সেই জায়গাটি কোনও ভাবে ঢেকে দেওয়া যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও আয়োজকদের তরফে বিশ্বকাপের স্পনসর বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা সব অস্থায়ী দোকান সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। স্টেডিয়ামে বিশেষ অতিথিদের বসার জায়গায় বিয়ার বিক্রি নিয়ে এখনও আপত্তি ওঠেনি। সেখানে বিয়ার পান করতে গেলে প্রতি ম্যাচে খরচ করতে হবে কমপক্ষে ২২ হাজার ৪৫০ ডলার বা প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা।
এত দিন পর্যন্ত ঠিক ছিল স্টেডিয়াম এবং ফ্যান-জ়োনে বিয়ারের অস্থায়ী দোকানগুলি থেকে খেলার শুরুর আগের এবং পরের ৩০ মিনিট বিয়ার বিক্রি করা হবে। স্টেডিয়াম চত্বরের নির্দিষ্ট জায়গায় বিয়ার পান করে গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন ফুটবলপ্রেমীরা। খেলা দেখার টিকিট থাকলে তবেই স্টেডিয়াম চত্বরে বিদেশি নাগরিকেরা বিয়ার কিনতে পারবেন। এক জন চার গ্লাসের বেশি বিয়ার কিনতে পারবেন না। সম্ভাব্য অশান্তি এড়াতেই বিয়ার পানের ক্ষেত্রেও সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু রাজপরিবারের নতুন দাবিতে সেই ব্যবস্থাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এমনিতে কাতারে মদ বা মদ জাতীয় পানীয় নিষিদ্ধ। রাজধানী দোহার হাতেগোনা কয়েকটি বিলাসবহুল হোটেলের ভিতর মদ্যপান করার অনুমতি রয়েছে। মূল শহরের আট কিলোমিটার দূরে একটি মাত্র মদের দোকান করেছে। কর্মসূত্রে কাতারে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের কাছে অনুমতিপত্র থাকলে তবেই তাঁরা সেই দোকান থেকে মদ কিনতে পারেন। রাস্তায় বা গাড়িতে বসে মদ্যপান করা যায় না। পান করতে হয় বাড়িতে নিয়ে গিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy