প্রতীকী ছবি
অবশেষে টনক নড়ল পুলিশ ও প্রশাসনের।
শুক্রবার বিকেল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন বেআইনি জল কারখানায় যৌথ ভাবে হানা দিতে শুরু করেছে দুর্নীতি দমন শাখা এবং খাদ্য সুরক্ষা দফতর। বারাসতে বেআইনি ভাবে জল তুলে বোতলবন্দি করার একটি কারখানা ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে অভীক বণিক নামে এক কারখানা মালিকও। শনিবার ধৃতকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় বারাসত আদালত। এ দিন পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই অভিযান চলবে। কোনও বেআইনি জল-কারখানা চলতে দেওয়া হবে না।’’
বস্তুত শহর কলকাতা থেকে শুরু করে শহরতলি এবং এই জেলা জুড়েই রমরমিয়ে চলছে এমন বেআইনি বোতলবন্দি জলের কারখানা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বারাসতের ভাটরাপল্লির কারখানাটিতে হানা দেন ওই দুই দফতরের আধিকারিকেরা। পুলিশ দেখে কর্মীরা চম্পট দেয়। কারখানায় ঢুকে দেখা যায়, পরীক্ষাগার তো দূরের কথা জল পরিশোধনের যথাযথ ব্যবস্থাও নেই। নিয়ম বহির্ভূত ভাবেই ভূগর্ভস্থ জল তুলে সাধারণ ফিল্টারে কিছুটা পরিশোধন করে বোতল ও পাত্রে ভরা চলছে। সেই জলের পাত্র ৩০ এবং ৪০ টাকা দরে বিক্রি হত বলে জানান স্থানীয়েরা।
পুলিশ জানিয়েছে, কোনও বৈধ অনুমতিপত্র দেখাতে পারেননি কারখানা কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে ২০ লিটারের ৩৫টি জলভর্তি পাত্র, ১৫টি খালি পাত্র, ১৫০টিরও বেশি ছিপি, একটি নামী জল তৈরির সংস্থার প্রচুর ভুয়ো লেবেল এবং কিছু রাসায়নিক বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। জলের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, অতীতে দুর্নীতি দমন শাখার তোলাবাজি এবং মোটা টাকার লেনদেনের বিনিময়ে এমন জলের কারখানা একাধিক বার বন্ধ হওয়ার পরেও খুলেছে। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে পুলিশ সুপার অবশ্য বলেন, ‘‘বন্ধ করার পরেও কারখানা খুলে দেখাক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy