প্রতীকী ছবি।
বনগাঁ শহর ও সংলগ্ন এলাকায় বেড়েছে হেরোইনের আসক্তদের উপদ্রব। একই সঙ্গে রমরমিয়ে চলছে খুচরো কারবার। বাসিন্দারা এই ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।
কয়েক বছর আগেও পেট্রাপোল, জামতলা, নরহরিপুর, খলিতপুর, জয়পুর এলাকায় হেরোইনের কারবারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। নেশার টাকা জোগাড় করতে চুরি-ছিনতাই বাড়ছিল। অনেকে নেশা করে মারাও যান। অনেক পরিবার আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ-প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপে ও সাধারণ মানুষের সচেতনতায় ক্রমে হেরোইনের খুচরো কারবার কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ইদানীং পুলিশের নজরদারির অভাবে ফের খুচরো বিক্রি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এখনই কড়া পদক্ষেপ করা না হলে ফের আগের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা।
বনগাঁ থানা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেল, কয়েক বছর বন্ধ থাকার পরে এখন ফের হেরোইনের খুচরো বিক্রির রমরমা বেড়েছে। কালমেঘা, রামচন্দ্রপুর, জয়পুর, রামকৃষ্ণপল্লি, বোয়ালদহ, সুভাষপল্লি, মতিগঞ্জের মতো কয়েকটি এলাকায় নতুন করে কারবার ছড়াচ্ছে। নেশায় আসক্তদের সংখ্যা বাড়ছে। সেই আগের মতোই নেশার টাকা জোগাড় করতে এ দিক ও দিক হাতটান দিচ্ছে আসক্তেরা। বাড়ছে ছোটখাটো চুরি-ছিনতাই। বাড়ির হাঁস, মুরগি, সাইকেল, বাসনপত্র উধাও হয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে এক মহিলা রাতে ভ্যানে বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। মতিগঞ্জ এলাকায় বাইকে করে এসে তিন যুবক গলা থেকে হার টান মেরে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। ট্রাকচালক-খালাসিদের তৎপরতায় দু’জন ধরা পড়ে যায়। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। জানা যায়, হেরোইন কেনার টাকা জোগাড় করতেই তারা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল। সম্প্রতি বনগাঁ শহরের রামকৃষ্ণপল্লি এলাকার একটি বাড়িতে চড়াও হয়ে আসক্তেরা এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে খুন করে। পুলিশ জানিয়েছে, হেরোইন বিক্রি ও নেশা করা বিবাদের জেরে বৃদ্ধকে খুন হতে হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, হেরোইনের খুচরো কারবারিরা ফোনেও বরাত নিচ্ছে। নেশায় আসক্তদের কাছে হেরোইনের পুরিয়া পৌঁছে দিয়ে আসছে। একটি দেশলাই কাঠির ওজনের হেরোইনের মূল্য ২৫০-৩০০ টাকা। একজন আসক্তের ২৪ ঘণ্টায় ৪-৫টি পুরিয়া লাগে।
পুলিশ জানিয়েছে, হেরোইন, গাঁজার খুচরো বিক্রিতাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। বনগাঁ থানার আইসি মানস চৌধুরী বলেন, ‘‘যারা হেরোইন খুচরো বিক্রি করছে, তাদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy