প্রতীকী ছবি।
বসিরহাটে শুক্রবার আরও ১০ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, এখনও পর্যন্ত মহকুমায় করোনা আক্রান্ত হলেন ৮৯ জন। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক।
এ দিন নতুন করে আক্রন্তদের কোভিড হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি তাঁদের বাড়ির এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে এলাকার দোকান ও বাজার। রোগীদের সংস্পর্শে আসা সকলকে হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় মহকুমা পুলিশ ও প্রশাসন থেকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা, মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার জন্য মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।
বনগাঁয় মহারাষ্ট্র থেকে ফেরা এক ব্যক্তির দেহে করোনা ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্য। মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা করেছেন বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা ঘটনায় ক্ষিপ্ত।
হাবড়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বছর ছেচল্লিশের এক মহিলার শরীরেও করোনা ধরা পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই মহিলা ক্যানসারে ভুগছেন। কেমো চলছিল তাঁর। সম্প্রতি কেমো দিয়ে বাড়িতে ফিরে তাঁর শরীরে শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশির উপসর্গ দেখা যায়। ফের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। ১ জুন তাঁর লালারস পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের কাছে খবর আসে। তিনি করোনা পজ়িটিভ। বর্তমানে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে তাঁর চিকিৎসা চলছে। পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে আক্রান্তের বাড়ি ও এলাকা স্যানিটাইজ় করা হয়েছে। কন্টেন্টমেন্ট জ়োনও ঘোষণা করা হয়েছে।
হাবড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নীলিমেশ দাস জানিয়েছেন, এলাকায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এলাকার মানুষকে যাতে বাইরে যেতে না হয়, সে জন্য কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সব রকম ব্যবস্থা করা হবে।
এ দিকে, হাবড়ার দক্ষিণ নাংলা কেইউ ইনস্টিটিউশনের হোস্টেলে কোয়রান্টিন সেন্টার নিয়ে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। সম্প্রতি এই সেন্টারের দূরবস্থা নিয়ে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়। খাবার, জল দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন সেন্টারে থাকা শ্রমিকেরা। এরপরেই বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতের তরফে ৬০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
পঞ্চায়েত প্রধান রত্না বিশ্বাস জানান, গতকাল পর্যন্ত তাঁদের সরকারি নির্দেশ ছিল না। পরে নির্দেশ আসায় খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে শৌচালয়, পানীয়জল নিয়ে এখনও ক্ষোভ রয়েছে শ্রমিকদের।
বৃহস্পতিবার ক্যানিং মহকুমায় মোট ৮২ জন পরিযায়ী শ্রমিক এসেছেন। এদের মধ্যে ভিন্ রাজ্য থেকে এসেছেন ৭৪ জন ও ভিন্ জেলা থেকে এসেছেন ৮ জন। শুক্রবার বিকেল তিনটে পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন এই মহকুমায়। তবে নতুন করে এই মহকুমায় করোনা সংক্রমণের খবর এ দিন পাওয়া যায়নি। এ দিন কুলতলিতে ফিরেছেন প্রায় ১৫০ জন। ব্লক হাসপাতাল সূত্রে খবর, এঁদের বেশিরভাগরেই বারুইপুরে স্ক্রিনিং হয়েছে। ফলে ব্লক হাসপাতালে আর আলাদা করে স্ক্রিনিং হয়নি। সরাসরি হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে।
তিনজনের করোনা পজ়িটিভ মিলল মথুরাপুরে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মথুরাপুরের রানাঘাট গ্রামের ১ জন ও পাশেই কালিকাপুর গ্রামের ২ জনের পজিটিভ মিলেছে। মথুরাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে বিএমওএইচ জয়দেব রায় বলেন, ‘‘ওই তিনজনকে চিকিৎসার জন্য রাজারহাট করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’ প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গত ২৫ তারিখে জনা ৫ জনের দল মহারাষ্ট্র থেকে মথুরাপুরের ওই দুই গ্রামে ফিরেছিল। তাঁদের নিভৃতবাসে রাখা হয়। সকলের লালারস পরীক্ষার জন্য কলকাতা পাঠানো হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy