ভিড়: কোভিড-বিধি উড়িয়ে প্রতিমা দেখতে পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল। বৃহস্পতিবার, বারাসতে। ছবি: সুদীপ ঘোষ।
কতটা জমায়েত হলে তবে ভিড় বলা যায়?
কালীপুজোর জন্য খ্যাতি রয়েছে বারাসত ও মধ্যমগ্রামের। বিশেষত, বারাসতের। স্থানীয় মানুষের অবশ্য দাবি, ভিড় আর কোথায়! ভিড় তো হত কোভিডের আগে। রাস্তায় পা ফেলা যেত না। দাঁড়িয়ে পড়লে ভিড়ের ধাক্কাতেই এগিয়ে যেতে হত। কিন্তু বৃহস্পতিবার, কালীপুজোর রাতে বারাসতের কলোনি মোড় এলাকার পরিস্থিতি দেখে বোঝা গেল, ভিড় আটকানো নিয়ে আদৌ নিশ্চিন্ত হতে পারছে না প্রশাসন।
বারাসতের লরি স্ট্যান্ডের কাছে একটি মণ্ডপ সংলগ্ন মন্দিরের সামনে রাস্তায় দণ্ডি কাটছিলেন মহিলারা। সেই দণ্ডি কাটার দৃশ্যের ছবি তুলতে সেখানে জমে গিয়েছিল ভিড়। গায়ে গা ঠেকিয়ে লোকজন ওই দৃশ্য দেখেছেন। দূরত্ব-বিধির পরোয়া করেননি কেউ। রাস্তায় দাঁড়ানো পুলিশকর্মীরা তখন ব্যস্ত যানজট নিয়ন্ত্রণে।
আবার মধ্যমগ্রাম চৌমাথার একটি পুজোয় দেখা গেল, রাস্তা থেকে মণ্ডপ দেখা যাচ্ছে ঠিকই, তবে প্রতিমা স্পষ্ট হচ্ছে না। তাই দর্শকদের ভিড় মাঠের দিকে এগোচ্ছে। তাঁরা লাইন দিচ্ছেন গা ঘেঁষাঘেঁষি করে।
বারাসতের কলোনি মোড়ের কাছে একটি পুকুর সংলগ্ন বড় পুজোয় আবার দেখা গেল, মূল মণ্ডপে প্রবেশ করতে না পারলেও লোকজন ভিড় জমিয়েছেন মণ্ডপের সামনে। মাস্ক ছাড়াই দেদার নিজস্বী তোলা হচ্ছে। কর্তব্যরত হোমগার্ড তাঁদের ভিড় করতে বারণ করলেও সে দিকে তেমন গুরুত্বই দিচ্ছে না উৎসাহী লোকজন।
বারাসতের বিভিন্ন পুজো সংলগ্ন খাবারের স্টলেও ভাল ভিড় ছিল এ দিন। সেখানেও মাস্কের বালাই ছিল না। পুলিশ বারংবার মাস্ক পরতে বললেও পাত্তা দেননি দর্শকদের একটি বড় অংশ। টাকি রোডের চাঁপাডালি মোড় এলাকার একটি পুজোর উদ্যোক্তা মানিক দত্তের বক্তব্য, ‘‘কোভিড-বিধি মেনেই পুজো করছি। আশা করি, মানুষ নিজেরাও সচেতন হবেন।’’
বৃহস্পতিবার ছিল কালীপুজোর প্রথম দিন। গত বছরের তুলনায় এ বার অবশ্য পুজোগুলির জৌলুসও বেশি। সন্ধ্যা থেকে ভিড় তেমন চোখে না পড়লেও কেএলসি রোড, কলোনি মোড়, টাকি রোড, শালবাগান, লালি সিনেমা-র মতো এলাকায় ভিড় বাড়তে শুরু করে মোটামুটি রাত সাড়ে আটটার পর থেকে। যদিও বারাসত পুলিশ জেলার সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘অতীতে ভিড় শুরু হয়ে যেত কালীপুজোর প্রথম দিন থেকেই। গত বছর থেকে পরিস্থিতি বদলেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণেই ছিল। তবে আমরা বাকি দু’টি দিনের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, মাস্ক না পরা ও বাজি ফাটানো-সহ নানা ধরনের অভিযোগে রাত পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা ৫০-এরও নীচে রয়েছে।
স্থানীয়দের অনেকে জানান, এ দিন অনেকের বাড়িতেই কালীপুজো ছিল। শুক্র কিংবা শনিবার সেটা থাকবে না। তখন ভিড়ও বাড়বে। তবে পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘লোকাল ট্রেন রাতে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই শহরতলি থেকে আসা দর্শকদের একটি বড় অংশ ট্রেন ধরে বেরিয়ে যাবেন। তার পরে স্থানীয়দের ভিড় সামলাতে অসুবিধা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy