দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার পুরসভা। ছবি সংগৃহীত।
শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য তোলপাড়। এরই মধ্যে ইডির নজরে এসেছে, একাধিক পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে নানা সময়ে।
তারই মধ্যে আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার পুরসভা। ২০১৬ সালে পিয়ন ও করণিক পদে ১৬ জনের নিয়োগ হয়েছিল। সে সময়ে সিপিএম অভিযোগ তোলে, এই নিয়োগের পিছনে আছে টাকার লেনদেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছিল পুরসভা। বর্তমান পুরপ্রধানও সেই দাবি করেছেন।
২০১৬ সালে ডায়মন্ড হারবার পুরসভায় ১৬ জন কাউন্সিলের মধ্যে সিপিএম ও বিজেপির কাউন্সিলর ছিলেন এক জন করে। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধীদের কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। অনেকের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও অভিযোগ ছিল। দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি ওঠে। শহরে মিছিল-মিটিং হয়।
২০১৮ সালের অক্টোবরে পুরসভার মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন হয়নি। প্রশাসক বসিয়ে বছর তিনেক ধরে কাজ চলে। দুর্নীতির অভিযোগে আন্দোলন প্রশমিত হয়নি বহু দিন পর্যন্ত।
ইডির পর্যবেক্ষণ নতুন করে সেই অভিযোগকে সামনে আনছে। ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম নেতা দেবাশিস ঘোষ বলেন, ‘‘সাদা খাতা জমা দিয়ে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছিল ১৬ জনের। এ নিয়ে আমরা বহু আন্দোলন করেছিলাম। লাভ হয়নি। আমরা এখন জানতে চাই, চাকরিপ্রার্থীদের থেকে তোলা টাকা গিয়েছিল কার কাছে!’’ বিজেপি নেতা তথা ২০১৬ সালের ডায়মন্ড হারবার পুরসভার বিজেপির একমাত্র কাউন্সিলর কৃষ্ণা বেরা বৈদ্যের অভিযোগ, ‘‘বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা না করে, কোনও কমিটি না গড়েই নিয়োগ হয়েছিল। মৌখিক ভাবে তৎকালীন পুরপ্রধান ও ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসককের কাছে আমরা তদন্তের দাবি জানিয়েছিলাম। তবে লাভ হয়নি।’’ ২০১৬ সালে পুরপ্রধান ছিলেন মীরা হালদার। তাঁর দাবি, নিয়োগ নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। নিয়ম মেনে এজেন্সির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র এনে পরীক্ষা হয়। যোগ্য ব্যক্তিরাই চাকরি পেয়েছিলেন। বর্তমান পুরপ্রধান প্রণব দাসেরও দাবি, যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ হয়েছিল। কোনও রকম দুর্নীতি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy