ভোটের আগে বাড়ছে শিলান্যােসর বহর। পাথরে নাম খোদাইয়ে ব্যস্ত শিল্পীরা। নিজস্ব চিত্র।
ভোট এলে যেমন একদিকে ব্যস্ততা বাড়ে রাজনৈতিক নেতাদের, তেমনই ব্যস্ততা বাড়ে পাথর খোদাই শিল্পীদেরও। কারণ, ভোটকে সামনে রেখে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন হয়, বহু প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। সরকারি এই সব প্রকল্প উদ্বোধন বা শিলান্যাস করতে ডাক পড়ে খোদাই শিল্পীদের।
সামনেই বিধানসভা ভোট। দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও ইতিমধ্যেই রাস্তা, নিকাশিনালা, পানীয় জলের নলকূপ, বাংলার আবাস যোজনার ঘর-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন শুরু হয়েছে জোর গতিতে। জনপ্রতিনিধিদের ছোটাছুটি বেড়েছে এই কাজে। প্রকল্পের শিলা তৈরির জন্য এখন নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন পাথর খোদাই শিল্পীরাও।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত এক মাসে ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় দুশোটিরও বেশি রাস্তা, নিকাশি, নলকূপ ও অন্যান্য প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছে। আগামী দু’মাসে সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই অনুমান। যত দিন না ভোট ঘোষণা হচ্ছে, তত দিন প্রকল্পের শিলান্যাস প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে বলে সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা। সহমত শিল্পীরাও।
ক্যানিংয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে পাথর খোদাইয়ের কাজের। সেখানে সব মিলিয়ে জনা দশেক শিল্পী কাজ করেন। সারা বছর ধরে যা নিয়মিত কাজ হয়, সেগুলির পাশাপাশি ভোটের মরসুমে চাপ বাড়ে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। পাথর খোদাই শিল্পী আমানুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘‘বারুইপুর ছাড়া এই অঞ্চলে এই কাজ আর অন্য কোথাও হয় না। সে কারণে আমাদের একটু চাপ বেশি। ক্যানিং, গোসাবা, বাসন্তী ছাড়াও আশপাশের ব্লকের প্রচুর সরকারি প্রকল্পের কাজ আমাদের কাছে আসে। ভোটের মরসুমে কাজের চাপ ও যথেষ্ট বাড়ে।’’
অন্য সময়ে যা কাজ হয়, তাতে দৈনিক চারশো-পাঁচশো টাকা রোজগার হয়। ভোটের মরসুমে দিনে রোজগার বেড়ে দাঁড়ায় হাজারখানেক টাকায়। এন্দাদুর রহমান নামে আর এক শিল্পী বলেন, ‘‘ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে কাজ কমে যায়। তবে যত দিন না ভোট ঘোষণা না হচ্ছে, তত দিন কাজের চাপ বেড়েই চলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy