—প্রতীকী চিত্র।
রাস্তায় যাতায়াতের পথে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রায়শই প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। কিন্তু বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে রাস্তার মধ্যে তরুণীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি, খবর পেয়ে ছাত্রীর বাবা মেয়েকে রক্ষা করতে গেলে তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। এমনই সমস্ত অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম ইমানুল হক ওরফে শুভ। যে অভিযোগটি উঠেছে সেটা শুক্রবারের ঘটনা। পরিবারের দাবি, রাস্তায় আসা যাওয়ার পথে তাদের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন যুবক। শুক্রবার ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। ইমানুল তার রাস্তা আটকে দাঁড়ান। আবার প্রেমের প্রস্তাব দেন। সরাসরি প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ছাত্রী। অভিযোগ, তার পরেই ওই যুবক ছাত্রীকে অ্যাসিড হামলার হুমকি দেন এবং রাস্তার মধ্যে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন।
ছাত্রীর বাবা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তিনি মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁকেও ওই যুবক মারধর করেন বলে অভিযোগ। তখন গ্রামবাসীরা ওই ছাত্রী ও তাঁর বাবাকে উদ্ধার করেন। পরে বাবা এবং মেয়ে দু’জনে চিকিৎসা করিয়ে দত্তপুকুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। ওই ছাত্রীর কথায়, ‘‘গত চার বছর ধরেই ইমানুল হক আমায় বিরক্ত করছে। শুক্রবার ওর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আমার মুখে অ্যাসিড ছুড়বে বলে হুমকি দেয়। আমি ভয়ে তখন বাবাকে জানাই সে কথা। তখন আমাকে মারধর করতে শুরু করে। আমার জামা ছিঁড়ে দেয়। বাবা এলে বাবাকেও মারধর করে ও।’’ ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘আমি গিয়ে দেখি মেয়েকে মারধর করছে ছেলেটি। ঠেকাতে গেলে আমাকেও মারধর করে ও। তখন স্থানীয়েরা ছুটে এসে আমাদের উদ্ধার করেন। গাড়ির ব্যবস্থা করে তাঁরাই আমাদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।’’
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ছিল পলাতক। পরে মুক্তারপুরের ওই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবারই তাঁকে বারাসত আদালতে হাজির করানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy