দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন এক যুবক। এখনও দেহ মেলেনি। — নিজস্ব চিত্র।
ভোরবেলা স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে কল করেছিলেন যুবক। বলেছিলেন, ‘‘আমি তোমাকে ভালবাসতাম। আমি চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’’ এর পরেই দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন এক যুবক। তিনি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। সোমবার বিকেল পর্যন্ত তাঁর দেহ উদ্ধার করা যায়নি। কলকাতার হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গঙ্গায় খোঁজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
যুবকের নাম অরিজিৎ দে। বয়স ২৬ বছর। মোবাইল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। গত ১৭ জানুয়ারি বিয়ে হয় প্রিয়াম্পি দত্তের সঙ্গে। প্রিয়াম্পি পাটুলির বাসিন্দা। দু’জনেই গড়িয়ার বরদাপ্রসাদ স্কুলে পড়াশোনা করতেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ বছর ধরে দু’জনের সম্পর্ক ছিল। তার পর এক মাস আগে বিয়ে করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মদ্যপান করতেন যুবক।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন অরিজিৎ। নিজের বাইকে চেপে। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তাঁর খোঁজ শুরু হয়। অরিজিতের মা ও স্ত্রী ফোন করেন বার বার। তিনি বাড়ি আসছেন বলে জানিয়েছিলেন। যদিও রাতে বাড়ি ফেরেনি। অরিজিতের বাবা তারক দাস বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ৭টা-৮টায় বাড়ি থেকে বার হয়েছিল। রাতে ওঁর দিদি ফোন করেছিল। বলল, আসছি। তার পর থেকে ফোন বেজেছে, কথাও হয়েছে। সোমবার সকালে এক বার ফোন করি, ফোন বেজে গিয়েছে।’’
অরিজিতের বন্ধুদের সূত্র জানা গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছিলেন। তবে অরিজিতকে একটু হতাশাগ্রস্ত মনে হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর বন্ধুরা। অরিজিতের বন্ধু সৌম্য সেন বলেন, ‘‘রাত দেড়টা পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে ছিল অরিজিৎ। আমি বাইরে ছিলাম। কলকাতায় ফিরেছি। ওকে ফোন করে জানিয়েছিলাম। কাল বুঝেছিলাম ও ডিসটার্বড। ও বলল, তোমরা বাড়ি চলে যাও। ভোর ৫টার সময় এসেছিল আমার ফ্ল্যাটে। নিরাপত্তারক্ষীর কাছে ওঁর এক বন্ধুর বাইকের চাবি দিয়ে গিয়েছে।’’ পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy