গ্রাহকরা কেন দেখতে পাচ্ছেন না পছন্দের সব চ্যানেল? দর্শকদের ব্যাখ্যা দিল এমএসওদের সংগঠন।
প্রায় দু’দিন কেটে গেলেও এখনও টিভিতে পছন্দের চ্যানেল দেখতে পাচ্ছেন না বহু গ্রাহক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সঙ্কট তড়িঘড়ি মেটার সম্ভাবনা প্রায় নেই। এই পরিস্থিতিতে বিবৃতি দিয়ে চ্যানেল দেখতে না পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করল এমএসওদের সর্বভারতীয় সংগঠন অল ইন্ডিয়া ডিজিটাল কেবল ফেডারেশন।
টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই)-এর নতুন মাসুল নীতি কার্যকর হওয়ার পর দাম বাড়িয়ে এমএসও-দের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে চায় চ্যানেলগুলির মালিকপক্ষ। তাঁদের ঠিক করে দেওয়া দামেই এমএসও এবং কেবল অপারেটরদের চ্যানেল চালাতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেই দাবি একতরফা ভাবে মেনে না নেওয়ায় কলকাতার সঙ্গে সারা দেশেই কেবল টিভির জনপ্রিয় চ্যানেলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একপাক্ষিক ভাবে জনপ্রিয় চ্যানেলের দাম বাড়ানোর যে অভিযোগ তুলেছিলেন এমএসও এবং কেবল অপারেটররা, তা তথ্যপ্রমাণ সহকারে তুলে ধরা ওই সম্প্রতি প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
কয়েকটি জনপ্রিয় চ্যানেলের নাম, সেগুলির পূর্ববর্তী দাম এবং বর্তমান দাম তুলে ধরা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। তাতে দেখা যাচ্ছে গড়পড়তা সব জনপ্রিয় চ্যানেলেরই দাম প্রায় ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির বহর ৪০০ শতাংশ বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমএসও সংগঠনটির অভিযোগ ট্রাইয়ের নিয়ম লঙ্ঘন করে বিভিন্ন চ্যানেলকে মিলিয়ে ‘বাকেট’ তৈরি করছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে আলাদা আলাদা ভাবে পছন্দের চ্যানেল কেনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকরা। তা ছাড়া ‘বাকেট’ তৈরির সময় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জনপ্রিয় চ্যানেলের সঙ্গে অন্য চ্যানেল যুক্ত করে দিয়ে সেগুলিকেও গ্রাহকদের কিনতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এমএসওদের অভিযোগ, একতরফা ভাবে ট্রাই ও ব্রডকাস্টারদের নীতি মেনে নিলে টিভি দেখার খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। ফলে গ্রাহকরা বিকল্প মাধ্যমে বিনোদনের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হবেন। এমনটা হলে একদিকে যেমন এমএসওদের ব্যবসা মার খাবে, তেমনই স্থানীয় স্তরের কেবল অপারেটারদের ব্যবসাও উঠে যাবে। চ্যানেলগুলি যে কম লভ্যাংশ পাওয়ার দাবি তুলছিল, তা নস্যাৎ করে দিয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে দেখানো হয়েছে বিগত ৫ বছরে চ্যানেলগুলির লাভ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy