Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Bhangar

বোনের জন্য পাত্র দেখতে গিয়ে আক্রান্ত, ছেলেধরা সন্দেহে মার যুবককে! ভাঙড়ে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

অভিযোগ, ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বানিয়ারা এলাকার মহিবুল মোল্লা তার বোনের বিয়ের জন্য পাত্র দেখতে গিয়েছিলেন সাইআইটি এলাকায়।

মারধরের সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

মারধরের সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভাঙড়  শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪ ১৫:৩৩
Share: Save:

ছেলেধরা সন্দেহে এ বার মারধরের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আহত ব্যক্তির নাম মহিবুল মোল্লা। বাড়ি কাশিপুর থানা এলাকার বানিয়ারা গ্রামে। বোনের জন্য পাত্র দেখতে গিয়েছিলেন মহিবুল, তখনই তাঁকে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে। (সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।)

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার ভাঙড় থানা এলাকার সাইআইট এলাকায় এই মারধরের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বানিয়ারা এলাকার মহিবুল মোল্লা তার বোনের বিয়ের জন্য পাত্র দেখতে গিয়েছিলেন সাইআইটি এলাকায়। রাস্তার মাঝে এলাকার একটি ক্লাবের সামনে গাছের তলায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেই সময় এলাকার কিছু মানুষ এই দু’জনকে দেখে ছেলেধরা সন্দেহে আটকে রাখেন।

তার পর ঘটনাস্থলে আসেন ওই এলাকার তৃণমূলের বুথ সেক্রেটারি শেখ হাবিব (পলাশ )-সহ বেশ কয়েকজন। তাঁরা মহিবুলকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আহত মহিবুল মোল্লার ভাই সাইদুর রহমান মোল্লা। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ভাঙড় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে থানার তরফে জানানো হয়েছে, এ রকম একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তারা সেটা জানতে পেরেছে। সেই ভিডিয়ো খতিয়ে দেখার পর মামলা দায়ের করা হবে।

ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা খইরুল ইসলাম এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “আমি গত পরশু থেকে নদিয়ার কল্যাণীতে একটি প্রশিক্ষণে ছিলাম। আজই ফিরেছি। আবার সেখানে যেতে হবে। সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে শুনেছি। এখনও খোঁজখবর নিইনি। যদি এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bhangar Man Beaten
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE