Advertisement
E-Paper

Anganwadi: ‘আজ খিচুড়িতে পোকা একটু বেশিই পড়েছিল’, অঙ্গনওয়াড়ির খাবার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

৬০ জন পড়ুয়া আছে এই সেন্টারে। অভিভাবকদের অভিযোগ, দিনের পর দিন নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। কর্মীরা ইচ্ছে করে খারাপ খাবার দেন।

নিম্নমান: চাল-ডাল থেকে পোকা বাছছেন কর্মীরা।

নিম্নমান: চাল-ডাল থেকে পোকা বাছছেন কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।

সমরেশ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২২ ০৬:৫২
Share
Save

মিড ডে মিলে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠল নামখানার মৌসুনি কুসুমতলা স্পেশাল ক্রেডার আইসিডিএস সেন্টারে। পোকা লাগা চাল-ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না হয়েছিল বলে অভিযোগ। গত দু’দিন ধরে অভিভাবকেরা কর্মীদের ঘিরেবিক্ষোভ দেখান।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ৬০ জন পড়ুয়া আছে এই সেন্টারে। অভিভাবকদের অভিযোগ, দিনের পর দিন নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। কর্মীরা ইচ্ছে করে খারাপ খাবার দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা গণেশচন্দ্র সিট বলেন, ‘‘খাবারে পোকা দেখা গিয়েছে। যেখান থেকে চাল-ডাল সরবরাহ করা হয়, সেখান থেকেই পোকা-লাগা চাল-ডাল দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সুপারভাইজার ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে জানানো হয়েছে।’’

অঙ্গনওয়াড়ির দায়িত্বে থাকা রানু গিরিও ওই কেন্দ্রের কর্মী মমতাজ বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি বলে মেনে নিচ্ছেন। রানুর কথায়, ‘‘ওই দিদিকে কেউ পছন্দ করছেন না। উনি খাবার ঠিক ভাবে দেন না। চাল বাড়িতে রেখেছিলেন। তাতে পোকা ধরে গিয়েছে।’’

মমতাজ বলেন, ‘‘সরকারি ভাবে যে চাল-ডাল দেওয়া হচ্ছে, তাতে পোকা-লাগা থাকলে আমার কী করার আছে! অন্যদিনের তুলনায় আজ খিচুড়িতে একটু বেশি পোকা ছিল,এটা ঠিক।’’

নামখানার সিডিপিও ইন্দ্রনাথ দত্ত জানান, বিষয়টি নজরেএসেছে। খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্য দিকে, সাগর ব্লকের ধসপাড়া সুমতিনগর ২ পঞ্চায়েতের বঙ্কিমনগর বিশালাক্ষী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খাবার বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মা-শিশুদের খাবারে সিদ্ধ ডিম থাকার কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বহু দিন ধরেই এই পরিস্থিতি চলছে বলে অভিযোগ উপভোক্তাদের অনেকের। সাগরের বিডিও, সিডিপিও এবং সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

বীণা মণ্ডল নামে এক মহিলার কথায়, ‘‘খাবারে সব্জি দেওয়া হয় না। মাঝে একদিন অর্ধেক ডিম দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে পাতে ডিম পড়েই না।’’

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী কাকলি সোরেনের যুক্তি, ‘‘ব্লক আইসিডিএস সংগঠনের এক নেত্রী জানিয়েছেন, মায়েদের গোটা ডিম দিতে হবে। বাচ্চাদের অর্ধেক দিলেই চলবে। সে ভাবেই দেওয়া হচ্ছে। এক সঙ্গে বেশি ডিম কিনলে নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন দেওয়া হয় না।’’

এ বিষয়ে সাগরের সিডিপিও অশোক দাস জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী সকলকে কাজ করতে বলা হয়েছে।

Anganwadi midday meal

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}