রামনবমীর মিছিল। ভাটপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র
প্রশাসনের অনুরোধ, নিষেধাজ্ঞাই সার। রবিবার রামনবমী উপলক্ষে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র হাতে মিছিল হল। একটি মিছিলে বিজেপি প্রার্থীকেও হাঁটতে দেখা যায়। ভাটপাড়ার ওই মিছিলে ছোটদের হাতেও তরোয়াল দেখা গিয়েছে।
ডায়মন্ড হারবারে আবার একই সঙ্গে একই জায়গায় মিছিল আয়োজন নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির গোলমালের আশঙ্কা দেখা দেয়। পরে যদিও দু’পক্ষ একই মিছিলে হাঁটে। মিছিল নির্বিঘ্নে শেষ হওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা।
ভাটপাড়ার স্থানীয় রামমন্দির কমিটি রবিবার বিকেলে মিছিলের আয়োজন করে। সেই মিছিলে অনেকের হাতেই অস্ত্র দেখা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রশাসন বারবার নিষেধ করলেও ওই মিছিলে নাবালকদেরও তরোয়াল নাচাতে দেখা গিয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
যুবকেরা মিছিল থেকে বেরিয়ে অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নানা কসরত দেখান। ছিল নাবালকরাও। এমন ঘটনায় হতবাক এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, আয়োজকদের এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন ছিল।
শুরুতে না থাকলেও বিজেপির ব্যারাকপুর কেন্দ্রের প্রার্থী অর্জুন সিংহ পরে মিছিলে যোগ দেন। উল্লেখ্য গত বছর তৃণমূল বিধায়ক থাকাকালীন, বিজেপির পাল্টা মিছিলের আয়োজন করেছিলেন অর্জুন। সেই মিছিল ঘিরে গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছিল। এ দিন সেই বিজেপি প্রভাবিতদের মিছিলেই হাঁটতে দেখা গেল অর্জুনকে। যদিও মিছিলের বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি অর্জুন।
এ দিন সন্ধ্যায় রামনবমীর মিছিলের আয়োজন করেছিল টিটাগড়ের রামনবমী উৎসব কমিটি। সেই মিছিলেও অস্ত্র নিয়ে অনেককে দেখা যায়। যদিও সেই মিছিলে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাকে দেখা যায়নি। অশোকনগরের সেনডাঙা রাম মন্দির কমিটি এ দিন সকালে মিছিলের আয়োজন করেছিল। মিছিলের আগে স্থানীয় মাঠে অস্ত্র নিয়ে নানন কসরত দেখান জনাকয়েক যুবক। পরে মিছিলের সময়েও এক জনকে তরোয়াল হাতে দেখা গিয়েছে। আয়োজকদের তরফে, সুশান্ত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আত্মরক্ষার জন্য কাছে অস্ত্র রেখেছি। কারও মাথা কাটার জন্য নয়।’’ অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক ধীমান রায় মনে করেন, মিছিলে অস্ত্র ব্যবহার না করলেই ভাল হত।
এ দিন বিকেলে ডায়মন্ড হারবার কপাটহাট মোড় থেকে রামনবমীর মিছিল কর্মসূচি ছিল বিজেপির। বিজেপির দাবি, সেখানে আগে থেকেই পৌঁছে যান তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল জানায়, আগে থেকেই মিছিলের পরিকল্পনা ছিল তাদেরও।
প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে মিছিল নিয়ে কিছুটা বাদানুবাদও হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ-প্রশাসনের মধ্যস্থতায় একই মিছিলে হাঁটতে রাজি হন দু’পক্ষের নেতারা। কপাটহাট মোড় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শেষ কেল্লার মোড়ে মিছিল শেষ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy