ছবি: সংগৃহীত
করোনা-আবহে যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য বাণিজ্যের কাজ চালু করার অনুরোধ জানিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক। লকডাউনের পর থেকে প্রায় ৭০ দিন পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যত বন্ধ পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। এ বার তা স্বাভাবিক হওয়ার পথেই এগোচ্ছে বলে মনে করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শনিবার ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির পেট্রাপোল বন্দরের ম্যানেজারকে লেখা ওই চিঠিতে জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী পণ্য রফতানির কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে এ ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যাবতীয় সুরক্ষা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেট্রাপোলে নো ম্যানস ল্যান্ডে ভারত-বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। বনগাঁ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের দায়িত্বে থাকা শঙ্কর আঢ্য ছিলেন সেই বৈঠকে। তিনি বলেন, ‘‘ওই বৈঠকে আমরা দু'দেশের প্রতিনিধিরা একমত হয়েছিলাম, দ্রুত বাণিজ্য শুরু করতে হবে। প্রশাসনের নির্দেশের অপেক্ষা করা হচ্ছিল।’’ বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জেলাশাসকের চিঠি পাওয়া গিয়েছে। এ বার কেন্দ্রের নির্দেশ এলেই বাণিজ্যের কাজ নিয়ম মেনে শুরু করতে অসুবিধা থাকল না।
লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে পেট্রাপোল দিয়ে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছিল। বাণিজ্য বন্ধের জন্য কেন্দ্রের কোনও নির্দেশ ছিল না। সীমান্ত দিয়ে অত্যাবশক পণ্যের যাতায়াত চালু রাখার কথাই বলা হয়েছিল। কিন্তু বন্ধ ছিল আমদানি-রফতানি। ক্ষতির সম্মুখীন হন ব্যবসায়ীরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, রাজ্য সরকার কোনও রকম আইনি বিজ্ঞপ্তি জারি না করে একতরফা ভাবে সীমান্ত বন্ধ করেছে। রাজ্য প্রশাসনের পাল্টা যুক্তি ছিল, বাংলাদেশের জেলাগুলিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বাণিজ্য চালু থাকলে এ দেশের ট্রাক চালকদের বাংলাদেশে পণ্য খালি করতে গিয়ে কয়েক দিন থাকতে হবে। তাঁরা ফিরে এলে এ দেশে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে নানা জটিলতার পরে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য রফতানি চালু হয়েছিল মে মাসের শুরুতে। নো ম্যানস ল্যান্ডে ট্রাকে পণ্য ওঠানো নামানোর কাজ হয়। কিন্তু দু’একদিন পরেই তা ফের বন্ধ হয়ে যায়। রফতানি বন্ধ করার দাবি তোলেন লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজে যুক্ত শ্রমিকেরা এবং স্থানীয় গ্রামবাসী। এরপর থেকেই বন্ধ ছিল বাণিজ্যের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy