ঝড়খালিতে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে শুকনো মাছের উঠান বা ফিস ড্রাইং ইয়ার্ড
দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে পাঁচ বছর, তবু এখনও চালু হয়নি ঝড়খালিতে মাছ শুকনোর উঠোন বা ফিশ ড্রাইং ইয়ার্ড। ২০১৮-১৯ সালে রাজ্য মৎস্য দফতর এই প্রকল্প চালুর পদক্ষেপ করেছিল। কিন্তু এখনও অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই প্রকল্প। হতাশা বাড়ছে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা ঝড়খালির বেশির ভাগ মানুষই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল লাগোয়া নদী-খাঁড়িতে বাঘের হামলার ঝুঁকি নিয়েও মাছ, কাঁকড়া ধরেন এঁরা। জঙ্গল-নির্ভরতা কমাতে রাজ্য মৎস্য দফতরের উদ্যোগে ঝড়খালিতে ফিশ ড্রাইং ইয়ার্ড বা মাছ শুকনোর প্রকল্প গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তথা বিদেশেও এই শুকনো মাছের চাহিদা যথেষ্ট। প্রকল্পটি গড়ে উঠলে এলাকার বহু মানুষের কর্মসংস্থান হত।
ঝড়খালির লস্করপুর মৌজায় ২০১৮ সালে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। এক বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছিল প্রকল্পের জন্য। ইতিমধ্যেই ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু বাকি ২০ শতাংশ কাজ না হওয়ায় চালু করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় মৎস্যজীবী শেখর বর্মণ, শম্ভু সানারা জানান, প্রকল্প চালু হলে এখানেও দিঘা-শঙ্করপুরের মতো স্থানীয় অনেকেরই কর্মসংস্থান হত। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ-কাঁকড়া ধরতে জঙ্গলের গভীরে যেতে হত না।
ঝড়খালি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডল বলেন, “জানি না কী কারণে এখনও কাজ আটকে আছে। তবে এলাকার কিছু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এখানে নিজেদের মতো করে মাছ শুকনোর কাজ করেন।” মৎস্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “বরাদ্দ টাকা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজ করার জন্য নতুন করে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।”
বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রীকে এ নিয়ে চিঠি লিখেছি। এটি চালু করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগে দাবি জানিয়েছি। ফিশ ড্রাইং ইয়ার্ড ছাড়াও ঝড়খালিতে একটি আইস ফ্যাক্টরি বা বরফ কল চালু হওয়ার কথা। সেটিও ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে থমকে রয়েছে। চিঠিতে তা-ও জানিয়েছি। আশা করি, দ্রুত সমাধান হবে।”
এ দিকে, প্রকল্প চালু না হওয়ায় ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রকল্পের যন্ত্রাংশ। সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দারের কটাক্ষ, “প্রকল্প চালু হবে কী করে, কাজের টাকা তো এলাকার তৃণমূল নেতারা কাটমানি হিসেবে খেয়ে নিয়েছেন!” বিজেপির অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ঝড়খালি অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বিধান বায়েন। তিনি বলেন, “প্রচার পাওয়ার জন্য ভুলভাল কথা বলছেন ওই বিজেপি নেতারা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy