—প্রতীকী চিত্র।
প্রধান নেই। ফলে, বহু ক্ষেত্রে থমকে রয়েছে নাগরিক পরিষেবাও। এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। ছবিটা ব্যারাকপুর ২ ব্লকের শিউলি পঞ্চায়েতের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জমি-বাড়ির অনুমোদন থেকে শুরু করে সেই সংক্রান্ত ফি দেওয়া, এলাকা সাফাই, নিকাশির সংস্কার— এমন কাজ তো আটকে আছেই। যে সব শংসাপত্র প্রধানের অনুপস্থিতিতেও দেওয়া যায়, সেগুলিও দেওয়া হচ্ছে না। এর জন্য কর্মীদের একাংশের অনুপস্থিতি ও ঢিলেঢালা মনোভাবকেই দায়ী করেছেন বিরোধীরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিউলি পঞ্চায়েতে নতুন বোর্ড গঠনের দিনই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিদায়ী প্রধান। যার জন্য ভেস্তে যায় সেই প্রক্রিয়া। আগামী ২১ অগস্ট ফের নির্বাচিত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে ভোটাভুটির মাধ্যমে বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে এই পঞ্চায়েতে জটিলতা তৈরি হয়েছিল নির্বাচনে ৩০টি আসনের মধ্যে ২৪টি আসন শাসকদলের দখলে আসার পর থেকেই। বেশ কিছু নতুন নাম উঠে এলেও বিদায়ী প্রধান অরুণ ঘোষের দিকেই যে পাল্লা ভারী, তা গত ১১ অগস্ট বোর্ড গঠনের জন্য হুইপ জারির আগে অধিকাংশ জয়ী তৃণমূল সদস্যের অনুপস্থিতিই প্রমাণ করেছে। কিন্তু সেই সময়েই বিদায়ী প্রধান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় পঞ্চায়েতের যাবতীয় কাজ কার্যত থমকে আছে।
অভিযোগ, অধিকাংশ বিভাগে কর্মীদের অনুপস্থিতি যেমন নজরে পড়ছে, তেমনই পরিষেবামূলক কাজের ক্ষেত্রে বার বার পঞ্চায়েতে গিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে স্থানীয়দের। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সিপিএম নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিউলি পঞ্চায়েতে প্রধান না থাকায় নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আগেও পরিষেবা ছিল না, এখন অবস্থা আরও খারাপ। প্রধান নেই বলে কর্মীদেরও গা-ছাড়া ভাব। মাঝখান থেকে হয়রান হচ্ছেন নাগরিকেরা।’’
এ ব্যাপারে ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ বারিক বলেন, ‘‘শিউলি ছাড়া ব্যারাকপুর ১ ও ২ ব্লকের বাকি সব পঞ্চায়েতেই নতুন বোর্ড গঠন হয়েছে। শিউলিতে হয়নি। কিন্তু তা বলে সেখানে কাজ হবে না কেন? পঞ্চায়েতের কর্মী ও সদস্যদের তো নিয়মিত অফিসে আসা ও সময় মেনেই সব কাজ করা উচিত। অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy