Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Panchayat

অ্যাপ নির্ভর পরিষেবা চালু করল পঞ্চায়েত

ওই পঞ্চায়েতে রয়েছে মোট ১২ টি সংসদ। জনসংখ্যা সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার। পঞ্চায়েতের দাবি, গত দশ বছরে এলাকার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

দিলীপ নস্কর 
মথুরাপুর শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:২৭
Share: Save:

সরকারি কাজে এবার থেকে পঞ্চায়েত দফতরে না এলেও চলবে। ঘরে বসেই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে মিলবে পরিষেবা। করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় এড়াতে এমনই ব্যবস্থা চালু করল মথুরাপুর ১ ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত। পাশাপাশি বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে পঞ্চায়েত জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় চালু হল ওয়াই ফাই জোন। শুক্রবার ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা।

ওই পঞ্চায়েতে রয়েছে মোট ১২ টি সংসদ। জনসংখ্যা সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার। পঞ্চায়েতের দাবি, গত দশ বছরে এলাকার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। উন্নয়ন হয়েছে প্রায় সর্বত্র। এক সময় পিছিয়ে থাকা এই পঞ্চায়েতের প্রায় অধিকাংশ রাস্তাই মাটির ছিল। এলাকায় বিদ্যুৎও ছিল না। গরমকালে পানীয় জলের হাহাকার চলত। কিন্ত গত ১০ বছরে অধিকাংশ গ্রামের রাস্তা কংক্রিট-ঢালাই করা হয়েছে। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াও সোলার আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এদিনও ওই এলাকার জলঘাটা মোড় থেকে শ্রীমতি মোড় পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন করে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। এবার তার সঙ্গে সংযোজন হল এই অ্যাপ নির্ভর পরিষেবা।

পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, নতুন এই অ্যাপের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই সরকারি সব পরিষেবা মিলবে। অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই বিভিন্ন শংসাপত্রের জন্য আবেদন করা যাবে। পঞ্চায়েত থেকে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সেই শংসাপত্র মোবাইলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। উপভোক্তা এরপর যে কোনও কম্পিউটার সেন্টারে গিয়ে শংসাপত্রের কপি বের করে নিতে পারবে। ওয়াই ফাই জোনের মাধ্যমে বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবারও ব্যবস্থা করেছে পঞ্চায়েত। প্রতিটি গ্রামেই ওয়াই ফাই মেশিন বসানো হচ্ছে। তবে তা ২০০ মিটারের মধ্যে কাজ করবে। যারা দূরবর্তী এলাকায় থাকেন, তাঁরা মেশিনের কাছাকাছি কোথাও গিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।

পঞ্চায়েত প্রধান শেলি হালদারের স্বামী বাপি হালদার বলেন, “এই কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষ বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। ভিড় এড়াতে চাইছেন। অথচ গুরুত্বপূর্ণ নানা শংসাপত্রের জন্য আবেদন করতে এবং তা পেতে পঞ্চায়েত দফতরে আসতেই হচ্ছে। তাই উপভোক্তাদের কথা ভেবে, তাঁরা যাতে ঘরে বসেই সমস্ত পরিষেবা পান, তার জন্যই এই অ্যাপের ব্যবস্থা করা হল। প্রতিটি গ্রামে ওয়াই ফাই মেশিনও বসানো হয়েছে। সমস্ত খরচ পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে করা হয়েছে।” এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মথুরাপুর ১ জয়েন্ট বিডিও কল্লোল ঘোষ, তৃণমুল নেতা শান্তনু বাপুলি, কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি-সহ অন্যরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy