বেশ কয়েক জন আইএসএফ কর্মীকে আটক এবং গ্রেফতার করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
গত কয়েক দিনে ভাঙড়ে অশান্তির ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে আটক এবং গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবং পরে অশান্তির ঘটনায় যুক্ত এঁরা। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর এলাকা থেকে ছোট্টু শেখ নামে এক আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক হয়েছেন বেশ কয়েক জন আইএসএফ কর্মী। যদিও আইএসএফের দাবি, পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না।
মঙ্গলবার পানাপুকুর এলাকা থেকে ছোট্টুকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিনে অভিযান চালিয়ে আরও দু’জনকে আটক করে কাশীপুর থানার পুলিশ। এর পর পোলেরহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নয়াবাদে অভিযান চালিয়ে আরও দু’জনকে আটক করা হয়। পুলিশের দাবি, ভাঙড়ের লাগাতার অশান্তির ঘটনায় এঁরা যুক্ত ছিলেন। এমনকি, নানা জায়গায় অশান্তির ঘটনার পর এঁরা আত্মগোপন করে ছিলেন বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর পেয়ে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করেছে। ভাঙড়ে অশান্তিতে এঁরা কী ভাবে যুক্ত, তা আটক এবং ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে দিঘা থেকে দমদম আসার পথে আইএসএফের জেলা পরিষদের প্রার্থী জাহানারা খাতুনের স্বামী-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভোটের গণনার দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন। প্রার্থীও নিখোঁজ বলে অভিযোগ করে আইএসএফ। পুলিশের দাবি, কাঁঠালিয়া হাই স্কুলের গণনাকেন্দ্রের সামনে পুলিশের উপর আক্রমণে জড়িত জাহানারার স্বামী এবং তাঁর সঙ্গীরা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পরে জাহানারারও খোঁজ পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
বস্তুত, ভোটের অনেক আগে থেকেই ভাঙড়ে বার বার অশান্তি ছড়িয়েছে। শুধু ভোট গণনার দিনই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। যাঁদের মধ্যে দু’জন আইএসএফ কর্মী ছিলেন। বাকি এক জন সাধারণ গ্রামবাসী। আইএসএফ অশান্তির জন্য তৃণমূলকে দায়ী করে। শাসকদল পাল্টা তাদের অভিযুক্ত করেছে। মঙ্গলবারের গ্রেফতারি নিয়েও আইএসএফের অভিযোগ, পুলিশ বেছে বেছে শুধু তাদের কর্মীদেরই গ্রেফতার এবং আটক করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy