—প্রতীকী চিত্র।
দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকারি জায়গা জবরদখল করে থাকা বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল গোবরডাঙা পুরসভা। ভিতের মাটি আগলা হয়ে গত মঙ্গলবার ভোরে গোবরডাঙা পুরসভার কালীবাড়ি মোড় সংলগ্ন বনগাঁ-বসিরহাট সড়কের পাশে ভেঙে পড়েছিল সাতটি পাকা দোকানঘর। অভিযোগ উঠেছিল, পুরসভার অনুমতি না নিয়ে দোকানঘরগুলি বেআইনি ভাবে নির্মাণের ফলেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বড় পুকুরের পাড়ে বেশ কিছু কাঁচা পাকা দোকানঘর আছে। তার মধ্যে সাতটি দোকানঘর ভিত থেকে ধসে গিয়ে ভেঙে পড়ে। ওই ঘটনার পরে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছিল।
এ বার ওই এলাকায় সরকারি জায়গায় থাকা যাবতীয় বেআইনি নির্মাণ (কাঁচা এবং পাকা) ভাঙতে পদক্ষেপ করল পুরসভা। এ বিষয়ে বুধবার পুরসভায় দোকান মালিক, পুলিশ, পূর্ত দফতর সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়। পুরপ্রধান শঙ্কর দত্ত বলেন, “ওই এলাকায় সরকারি জায়গা জবরদখল করে আরও কিছু দোকানঘর, নির্মাণ কাজ আছে। সেগুলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় সরকারি পূর্ত দফতরের জায়গায় এখনও জবরদখল করে থাকা প্রায় ৭০টি দোকানঘর আছে। সেগুলি ভেঙে দেওয়ার আগে আগামী সোমবার পুরসভা, পুলিশ, পূর্ত দফতর এবং ব্যবসায়ীরা ওই এলাকায় যৌথ ভাবে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করবে। তারপরেই দোকানঘরগুলি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই এলাকা ছাড়াও পুরসভার অন্যান্য এলাকায়ও সরকারি জায়গা দখল করে আরও বেআইনি নির্মাণ আছে। আবার পুরসভার অনুমতি ছাড়াও নির্মাণ আছে। পুরপ্রধান বলেন, “দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকায় আমরা বেআইনি নির্মাণ প্রথমে ভাঙব। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জায়গায় থাকা বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।” পুরপ্রধান আরও বলেন, “ভেঙে পড়া দোকানঘরগুলি বহু দিনের পুরনো। যখন তৈরি হয়েছিল তখন নির্মাণের এত নিয়মকানুন ছিল না। তবে এখন আমরা এই বিষয়ে খুবই সর্তক। পরিকল্পনা ছাড়া দোকানঘর বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়া হয় না।”
বাসিন্দাদের দাবি, মাটি পরীক্ষা করে, প্ল্যান অনুমোদন করে দোকানঘরগুলি তৈরি হলে এই ঘটনা ঘটত না। ভেঙে পড়া দোকানঘরের মধ্যে একটি মুরগির দোকান ছিল। সেই দোকানটিতে সম্প্রতি নতুন ছাদ দেওয়া হয়েছিল। ওই মুরগির ঘরগুলির সঙ্গেই পাশাপাশি ছিল বাকি দোকানগুলি। মুরগির দোকানঘরে ছাদ দেওয়ার ফলে বাকিগুলি ধসে পড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। নতুন ছাদ করা নিয়ে পুরসভার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy