গঙ্গার দু’ধারের চটকলগুলির হাল ফেরাতে কর্মসংস্থানের পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। নতুন করে তৃণমূল সরকার গড়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, শ্রম দফতরের মাধ্যমে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কাজের ব্যবস্থা করা হবে।
ধুঁকতে থাকা চটকলগুলির মূল সমস্যা ছিল কর্মীর অভাব। ‘চটকলে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান প্রকল্প’ চালু করে প্রায় এক লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে শ্রম দফতর। তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দিয়ে চটকলে নিয়োগ করা হবে। বৃহস্পতিবার হালিশহরে এশিয়ার বৃহত্তম চটকল হুকুমচাঁদ জুটমিলে শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রথম দফার প্রশিক্ষণ নিলেন প্রায় সাড়ে চারশো জন।
মন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যের শ্রম দফতরের সচিব ও কমিশনার জাভেদ আখতার, রাজ্যের কর্মবিনিয়োগ অধিকারের অধিকর্তা অমরনাথ মল্লিক, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, সুবোধ অধিকারী, চটকলের সিইও সমীরকুমার চন্দ্র-সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি চটকলে ২৩ বছর কাজ করেছি। কোনও অসুবিধা হলে আমাদের জানাবেন। গত দু’মাসে ১৭টি বন্ধ চটকল খুলেছি। মুখ্যমন্ত্রীর একটা নির্দেশ সকলকে মনে রাখতে হবে, কারখানা বন্ধ করে নয়, চালু রেখেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’’
মন্ত্রী জানান, রাজ্যের চটকলগুলিতে প্রায় এক লক্ষ শ্রমিক-কর্মী প্রয়োজন। ৯০ দিনের প্রশিক্ষণে প্রথম ৪৫ দিন দৈনিক ২০০ টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হবে এবং ৮০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। পরের ৪৫ দিন দৈনিক ২৫০ টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হবে এবং ৮০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পরে চটকলে কাজ মিলবে।
শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষ শ্রমিক-কর্মী তৈরির জন্যই শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে বেকারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের জন্য শুধুমাত্র স্বাক্ষর হলেই চলবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তবে অবশ্যই এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। ইচ্ছুক বেকারদের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তারপরে ৯০ দিনের থিওরি ও প্র্যাকটিক্যাল প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy