নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় কয়েক দিন আগে গুঞ্জরিয়া বাজার এলাকায় আন্দোলন।
মঞ্চ তৈরি করে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সঙ্গে নিয়ে মানুষকে শান্তির বার্তা দিলেন প্রশাসনের কর্তারা। বুধবার সকালে ঘটকপুকুর চৌমাথায় ভাঙড় থানার পুলিশের পক্ষ থেকে এই আয়োজন ককরা হয়। এ দিন ওই শান্তি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) সন্দীপ মণ্ডল, ডিএসপি ক্রাইম সৌমানন্দ সরকার, সিআই (ভাঙড়) সৌগত রায়, ওসি (ভাঙড়) চন্দ্রশেখর ঘোষাল-সহ অন্যরা।গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে অনেকেই ভয়ে দোকান, বাজার বন্ধ করে দিচ্ছেন। যার কারণে এ দিন ভাঙড় থানার পুলিশের পক্ষ থেকে ইমাম, মোয়াজ্জেমদের সঙ্গে নিয়ে ঘটকপুকুর চৌমাথায় মঞ্চ তৈরি করে সাধারণ মানুষকে শান্তির বার্তা দেওয়া হয়। পথচলতি সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট বিলি করা হয়। সেখানে প্রচার করা হয় যে কোনও আন্দোলন করতে হলে শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে করতে হবে। পথ অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে হয়রান করা চলবে না। কোনও ভাবেই সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা বরদাস্ত করা হবে না। যানবাহনের উপর হামলা করে তাতে ভাঙচুর করা, পাথর ছোঁড়া, আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কাজ থেকে আপনারা বিরত থাকুন।
এ দিন মঞ্চ থেকে ইমাম, মোয়াজ্জেম ও প্রশাসনের কর্তারা মাইকিং করে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে শান্তির বার্তা দেন।
অন্য দিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাঙড় ২ ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে এলাকার বিশিষ্ট নাগরিক ও ইমাম- মোয়াজ্জেমদের সঙ্গে শান্তি বৈঠক করা হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিডিও কৌশিক কুমার মাইতি, কাশিপুর থানার ওসি বিশ্বজিৎ ঘোষ সহ অন্যরা।
বসিরহাট থানার পুলিশের উদ্যোগে এ দিন স্থানীয় একটি ভবনে ‘সংহতি সমাবেশ’ হয়। সমাবেশে হাজির ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও, থানার আইসি, পুরপ্রধান, মোয়াজ্জেম, ইমাম, মন্দির, মসজিদ এবং ক্লাব কমিটির সদস্য-সহ অন্যান্যরা। নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আন্দোলন হলেও, তা থেকে কোনওরকম হিংসা ছড়ানো হবে না বলে অঙ্গীকার করেন প্রত্যেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy