এ ভাবেই বেআইনি পার্কিং করে রাখা হয় হাসপাতালে। পুলিশ এসে তা সরায় সোমবার। নিজস্ব চিত্র
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ভিতরে ও মূল গেটের সামন বেআইনি ভাবে মোটরবাইক, টোটো, ভ্যান ও সাইকেল রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে জন্য সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা।
হাসপাতালের ভিতরে অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকাতে সমস্যা হচ্ছে। পায়ে হেঁটে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতেও বিপাকে পড়ছেন রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা। অভিযোগ পেয়ে সোমবার সকালে ক্যানিং থানার পুলিশ হাসপাতালের ভিতরে বেআইনি পার্কিং সরাতে আসে। এ দিন বেশ কিছু সাইকেল, বাইক-সহ অন্য গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সকলকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে পুলিশের তরফে। আগামী দিনে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
ক্যানিং হাসপাতালের সুপার অপূর্বলাল সরকার বলেন, “অসুস্থ রোগীকে গাড়ি বা অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া-আসার রাস্তায় বেআইনি পার্কিংয়ের ফলে যথেষ্ট অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছিলেন রোগীর পরিবারের লোকজন। পুলিশ ও প্রশাসনকে বলেছি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে।”
দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যা চলছে হাসপাতালে। বেআইনি পার্কিং রুখতে ইতিমধ্যে হাসপাতালের দু’টি মূল গেটের একটি গেট বন্ধ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তবুও সমস্যা মিটছে না। প্রতিদিন সকাল থেকেই হাসপাতালের মূল ক্যাম্পাসের মধ্যে অটো, বাইক, সাইকেল, টোটো যত্রতত্র রেখে দিয়ে চলে যাচ্ছেন মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে সমস্ত গাড়িগুলি পড়ে থাকছে। ফলে অ্যাম্বুল্যান্স বা অন্য গাড়ি হাসপাতালে ঢুকতে পারছে না। হাসপাতালের মূল ভবন থেকে অনেক রোগীকেই প্রায় পাঁচশো মিটার দূরে এক্স-রে কিংবা সিটি স্ক্যান করানোর জন্য যেতে হয়। সেই রোগীদেরও নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে। ক্যানিংয়ের বাসিন্দা নুপুর সর্দার, গৌতম দাসেরা জানান, এক আধ দিন নয়, দিনের পর দিন এই ভাবে জরুরি বিভাগ ও হাসপাতালের মূল গেটের সামনে বেআইনি ভাবে মোটরবাইক, টোটো, সাইকেল, ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
হাসপাতালের ভিতরে এই অবৈধ পার্কিং নিয়ে একাধিকবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শ্যামল মণ্ডল। কিন্তু তবুও সমস্যার সমাধান হয়নি। হাসপাতাল সুপার অপূর্বলাল সরকারও বার বার বিভিন্ন দফতরে চিঠি দিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। বিধায়ক বলেন, “পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy