ধৃত অমর সাধুঁখা
সাইকেলের গ্যারাজে এসে চোখের ইশারায় মিলত মদের বোতল।
উপরে সাইকেল গ্যারাজ ও নীচে দেশি মদের বেআইনি কারবার ফেঁদে বসেছিল এক কারবারি। খবর পেয়ে গোপালনগর থানার পুলিশ বুধবার রাতে চামটা বাজারের ওই গ্যারাজে হানা দিয়ে অমর সাধুঁখা নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল। আটক করা হয়েছে প্রচুর দেশি মদের বোতল।
পুলিশ জানিয়েছে, নদিয়ার পূর্ব শিমুলিয়া এলাকার বাসিন্দা অমরের চামটা বাজারের গ্যারাজে ভালই ভিড় হত। অনেকে সাইকেল মেরামত করতে আসতেন। ওই গ্যারাজের ঘরটি মাটির উপরে। নীচে মাটির তলায় রয়েছে আরও একটি ঘর। সেখানেই রাখা হত মদের বোতল।
বুধবার রাতেই গোপালনগর থানার পুলিশ স্থানীয় শিমুলিয়া ও চালকি এলাকা থেকে আরও তিনজনকে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। তাদের নাম বালক সর্দার, আবদুল শামিম ও পলাশ রায়। শামিম ও পলাশ বৈধ দেশি মদের কাউন্টার থেকে থেকে মদ কিনে এলাকায় ফেরি করে। বুধবার রাতে বাগদা পেট্রাপোল, বনগাঁ ও গাইঘাটার পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েক জন দেশি মদ বিক্রেতাকেও গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর মদ।
শান্তিপুর-কাণ্ডের পরে রাজ্য জুড়েই অবৈধ দেশি মদ ও চোলাই বন্ধে নতুন করে শুরু হয়েছে অভিযান।
বসিরহাটে গত দু’দিনে ১১টি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০০ লিটারের মতো দেশি মদ ও চোলাই আটক করা হয়েছে। ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই মহকুমাতেও পুলিশ ও আবগারি দফতরের আধিকারিকদের নজরে এসেছে, সীমান্ত-লাগোয়া গ্রামে মুদির দোকান, মিষ্টির দোকান, চায়ের দোকান থেকেও মদ বিক্রি হচ্ছে। স্বরূপনগর, বসিরহাট, হাসনাবাদ এবং হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবন লাগোয়া প্রত্যন্ত গ্রামে এমন বহু দোকান গজিয়ে উঠেছে।
হাসনাবাদের বাইলানি বাজারে গিয়ে দেখা গেল, এক যুবক রাস্তার পাশে সিগারেটের দোকান থেকে দেশি মদ কিনছেন। দোকানের পিছনে ঘরে আরও দু’জন বসে নেশা করছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ওই দোকানে আগেও একাধিকবার পুলিশ হানা দিয়ে প্রচুর মদ বাজেয়াপ্ত করেছে। কিছু দিন বন্ধ থাকার পরে ফের রমরমিয়ে চলে কারবার। ওই বাজারে আরও কয়েকটি দোকানে দেশি-বিদেশি মদ, চোলাই বিক্রি হয়। স্থানীয় মানুষজনের বক্তব্য, বেআইনি মদের কারবারের জন্য এলাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা লেগেই থাকে।
বুধবার রাতে স্বরূপনগরের বিথারি সীমান্ত থেকে পুলিশ অবৈধ ভাবে দেশি মদ বিক্রির অভিযোগে জগদীশ ঘোষ নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে। একই অভিযোগে বসিরহাটের ইটিন্ডা, ময়লাখোলা, দন্ডিরহাট থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে শতাধিক লিটার দেশি মদ। বাদুড়িয়ার রামচন্দ্রপুর গ্রাম থেকে চোলাই বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় রশিদ আকুঞ্জিকে। তার কাছ থেকে ৩৫ লিটার চোলাই উদ্ধার হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy