Advertisement
E-Paper

রাত পর্যন্ত শব্দের দাপট বর্ষবরণে

দত্তপুকুরের বাসিন্দা পলাশ মণ্ডল বলেন, “চারদিকের বাজির শব্দে টেকা যাচ্ছিল না। বাড়ির দরজা-জানালা নড়েছে। বাড়িতে শিশু ও বয়স্ক বাবা মা আছে।

বর্ষবরণের মধ্যরাতে দেদার শব্দবাজি ফাটল বনগাঁয়।

বর্ষবরণের মধ্যরাতে দেদার শব্দবাজি ফাটল বনগাঁয়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:৩০
Share
Save

বর্ষবরণের রাতে শব্দবাজির দাপট শোনা গিয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়। শব্দ তাণ্ডব কোথাও কোথাও কালীপুজোর রাতকেও হার মানিয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বিভিন্ন এলাকায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যে থেকেই। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজির দাপটও বাড়তে শুরু করে। ঘড়িতে বারোটা বাজতেই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে শুরু হয় মুহুর্মুহু বাজি ফাটানো। বসিরহাট, বারাসত, কাকদ্বীপ, ক্যানিং—প্রায় সর্বত্রই দেখা গিয়েছে একই ছবি। বাজির দাপটে বিরক্ত হন বহু বাসিন্দাই।

দত্তপুকুরের বাসিন্দা পলাশ মণ্ডল বলেন, “চারদিকের বাজির শব্দে টেকা যাচ্ছিল না। বাড়ির দরজা-জানালা নড়েছে। বাড়িতে শিশু ও বয়স্ক বাবা মা আছে। তাঁদের কথা এলাকার অনেকেই ভাবেন না। পুলিশ দিয়ে এই সব আটকানো যাবে না।” আলগড়িয়ার গৃহবধূ পূরবী ঘোষ বলেন, “নতুন বছরকে বরণ করার জন্য শব্দ বাজি ফাটানোর যা ধুম দেখলাম তাতে স্তম্ভিত। যারা শব্দ বাজির বিরুদ্ধে, এটা যেন তাঁদের দিকেই বার্তা ছুড়ে দেওয়া—দেখো কিচ্ছু করতে পারবে না। অথচ শিশু, বয়স্ক বা গর্ভবতীদের জন্য এটা কতটা ক্ষতিকর, তা ওরা জানে না, এমন নয়।”

রাত বারোটা থাকে প্রায় আধ ঘণ্টা এক নাগাড়ে শব্দবাজি ফেটেছে ক্যানিং-সহ আশেপাশের এলাকায়। বিশেষ করে ক্যানিং শহরে বাজির দাপট ছিল বেশি। জয়নগর, দক্ষিণ বারাসত এলাকায়ও বাজি ফাটতে শোনা গিয়েছে। বারোটার পর শব্দবাজির দাপট শোনা গিয়েছে কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবারেও।

অভিযোগ, শব্দবাজি নিয়ে তেমন নজরদারি ছিল না প্রশাসনের। অনেকেই জানান, কালীপুজোর আগে বাজি নিয়ে কড়াকড়ি থাকে। ধরপাকড় চলে। তার জেরে ওই সময় শব্দবাজিতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কিন্তু এই সময় প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই শব্দবাজি মাত্রা ছাড়িয়েছে বলে অভিযোগ।

বারাসত জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, মানুষকে সচেতন হতে হবে। নেতা-জনপ্রতিনিধিদেরও সঠিক ভূমিকা পালন করতে হবে। পুলিশ ঘাড়ে দোষ দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। শব্দ বাজি তৈরি পুলিশ করে না। বিক্রিও করে না। দক্ষিণের এক পুলিশ কর্তা জানান, নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। বর্ষবরণের আগেও অভিযান চলেছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bangaon Dattapukur

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}