নিজস্ব চিত্র
স্ত্রীকে বঁটি দিয়ে খুন! তার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা স্বামীর। এই ঘটনা ঘটল বছর চারেকের এক শিশুর সামনে। আর সেই শিশু রাতভর ওই ঘরেই বাবা-মায়ের নিথর দেহের দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে বসে থাকল। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তাক্ত বঁটিও।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই দম্পতির নাম নির্মল গায়েন ও চন্দনা গায়েন। বাসন্তীর ঝড়খালির বাসিন্দা তাঁরা। বেশ কয়েক বছর ধরে নরেন্দ্রপুরের উদয়নপল্লিতে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। ওই এলাকাতেই নির্মলের দিদির বাড়ি। নির্মল কলকাতায় শ্রমিকের কাজ করতেন। মাঝে স্ত্রী-পুত্র-সহ নির্মল ঝড়খালিতে গেলেও সাত-আট দিন আগে আবার ভাড়াবাড়িতে ফিরে আসেন। গত মঙ্গলবার একটি সাইকেলও কিনেছিলেন তিনি। তার পর বুধবার মধ্যরাতে ওই ঘটনা ঘটে। কিন্তু কেন স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন নির্মল, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যাওয়ার কথা ছিল নির্মলের। তাঁর এক সহকর্মী তাঁকে সকালে ডাকতে এসে কোনও সাড়াশব্দ পাননি। এর পর প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করেন ওই ব্যক্তি। ঘরের জানলা দিয়ে উঁকি মেরে তিনি দেখেন, চন্দনার রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। নির্মলের ঝুলন্ত দেহও দেখতে পান প্রতিবেশীরা। এর পরেই ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দম্পতির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্মলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন চন্দনার বাবা। শিশুটিকেও তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকবুল হাসান বলেন, ‘‘একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। খুনে ব্যবহৃত বঁটিও উদ্ধার হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy