অবহেলা: কীর্তনখোলা শ্মশান ঘাটের পিছনে এমনই অবস্থা আদিগঙ্গার। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।
নতুন বৈদ্যুতিক চুল্লির কাজ শুরু হলেও, এখনও বেহাল শ্মশান সংলগ্ন আদিগঙ্গা। ফলে শ্মশান আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হওয়ার পরেও তা যে পূর্ণতা পাবে না, মানছেন বারুইপুর পুর এলাকার বাসিন্দারা।
বারুইপুর পুর এলাকার এক মাত্র শ্মশান কীর্তনখোলা শ্মশানঘাট। বারুইপুর তো বটেই, সংলগ্ন পঞ্চায়েত এলাকার ভরসা বলা যেতে পারে এই শ্মশান। বারুইপুর পুর এলাকার অধীন এই ঘাটে দিনে গড়ে ১৪টি দাহ হয়। তাই প্রায় সাত বছর আগে বসেছিল শ্মশানের প্রথম বৈদ্যুতিক চুল্লি। ছিল কাঠে দাহের ব্যবস্থাও। শ্মশানের পিছন দিয়ে বয়ে গিয়েছে আদিগঙ্গা, যা মিশেছে পিয়ালী নদীতে। সেই ঘাটই ব্যবহার করেন সৎকারে আসা মানুষ। ফেলে যাওয়া বর্জ্যে স্তূপ হয়ে থাকে পাড়, পিছল ঘাটের সিঁড়িও।
যদিও অভিযোগ মানতে চাননি বারুইপুর পুর কর্তৃপক্ষ, তাঁদের মতে, প্রচুর মানুষ আসেন শ্মশানে। তাই আবর্জনা জমে যায়। নিয়মিত পরিষ্কারও হয়।
একটি চুল্লি থাকায় ক্রমাগত চাপ পড়ছিল সেই চুল্লির উপরে। এর পরেই সিদ্ধান্ত হয় আরও একটি চুল্লি তৈরি করার। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এ কাজে। কাজ করছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। দফতর সূত্রের খবর, শ্মশানের মধ্যেই এক পাশে নতুন একটি দোতলা ভবন তৈরি করে সেখানে বসছে চুল্লিটি। থাকবে প্রতীক্ষালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থা। পরিবেশ দফতরের নিয়ম মেনে প্রায় নব্বই থেকে একশো ফুট উঁচু চিমনি দিয়ে ধোঁয়া বার করার ব্যবস্থাও থাকছে। কাজ শুরু হয়েছে গত বছর। চলতি বছরের মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। অথচ সংলগ্ন আদিগঙ্গার ঘাটটি নিয়ে কোনও ভাবনা নেই কেএমডি-র।
বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী জানান, পুরসভাও শ্মশানটির সৌন্দর্যায়ন কাজ করবে। যদিও ঘাটের অপরিচ্ছন্নতার বিষয়টি তিনি মানতে চাননি। বাসিন্দাদের মতে, সৌন্দর্যায়নের পূর্ণতায় বাধ সাধছে সেটাই। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার অরিন্দম দত্ত জানান, ওখানে মাছ চাষ ও বোটিং-এর জন্য কয়েক বছর আগে সেচ দফতরে আবেদন করা হয়েছিল।
সেচ দফতর সূত্রের খবর, আমতলার মোড় থেকে আদিগঙ্গার প্রায় দু’কিলোমিটার সাজাতে দরপত্র ডাকা হয়ে গিয়েছে। চার-পাঁচ বছরের মধ্যে আদিগঙ্গার ওই অংশের সাফাই এবং সৌন্দর্যায়ন করবে সেচ দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy