এক তরুণীর বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হল তরুণের ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার শিরাকোল ভান্ডারিপাড়া এলাকার ঘটনা। ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। যুবকের পরিবারের দাবি, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তরুণের। সেই সম্পর্কের টানাপড়েনে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও তরুণীর পরিবারের তরফে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম অয়ন মণ্ডল (২৪)। তিনি ফলতা থানার নিয়োগীর হাটের বাসিন্দা। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কলের পাইপ লাগানোর কাজ করতেন অয়ন। বাবা-মায়ের এক মাত্র সন্তান তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, সম্প্রতি ভান্ডারিপাড়ারই এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অয়ন। সোমবার সন্ধ্যায় বাজারে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, রাত পার হয়ে গেলেও তিনি বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার সকালে তাঁর পরিবারের সদস্যেরা জানতে পারেন, অয়নের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে শিরাকোলে।
আরও পড়ুন:
-
ভোট আসছে! কৃষ্ণনগরে পৌঁছেই ‘কড়া’ বার্তা দিয়ে বৈঠক মমতার, সঙ্গে ‘পদ্ম-বিধায়ক’ মুকুলও
-
সুকান্তকে সরিয়ে দায়িত্ব কি শুভেন্দুকে! ডিসেম্বরেই রদবদল? অবশেষে মুখ খুললেন বিজেপি নেতৃত্ব
-
এয়ার ইন্ডিয়ায় আবার নিয়োগ! সম্প্রসারণের পরিকল্পনা কতটা? টাটার বিজ্ঞাপনে জল্পনা
-
নাবালিকাদের মাদক খাইয়ে নির্যাতন করতেন, জেলবন্দি লিঙ্গায়েত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে চার্জশিটে পুলিশ
অয়নের পরিবারের দাবি, সোমবার তিনি তাঁর ‘প্রেমিকা’র সঙ্গে শিরাকোল মোড়ে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে ওই তরুণীর বাবা, মা প্রকাশ্যে তাঁকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। পরে সেই কথা অয়ন বন্ধুদের জানিয়েছিলেন বলেও দাবি পরিবারের। এর পর মঙ্গলবার সকালে ওই তরুণীর বাড়ির সামনে থেকে অয়নের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মা কণিকা মণ্ডল বলেন, ‘‘আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। ওকে খুন করা হয়েছে। যদি আত্মহত্যা করত, তা হলে বাড়ির কাছেই করত। প্রেমিকার বাড়ির সামনে গলায় ফাঁস লাগাতো না। প্রেমিকার বাড়ির লোকজনই ওকে মেরেছে। আমি চাই ওরা শাস্তি পাক।’’
পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা। বিষয়টি নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন কুমার দে বলেন, ‘‘মৃতের কাছ থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, ওই সুইসাইড নোটে উল্লিখিত বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তবে সুইসাইড নোটে কী লেখা রয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি।