ভাঙা পড়েছে কিছু বসত বাড়িও। নিজস্ব চিত্র
সরকারি জমিতে দখলদার উচ্ছেদ করল প্রশাসন। ডায়মন্ড হারবার বাসস্ট্যান্ডের পাশে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেআইনি দখলদারি মেশিন দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে কলকাতাগামী বাস স্ট্যান্ডের ঠিক বাঁ দিকে সারি দিয়ে প্রায় ১২টি দোকান রয়েছে। ওই দোকানগুলির পিছনের কিছু অংশ পুরসভা ও টাউন গ্রন্থাগারের ফাঁকা জমির মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। সেগুলিও ভাঙা পড়েছে। তা ছাড়া বছর কয়েক ধরে জাতীয় সড়কের পাশে ওই সমস্ত জমিতে জুতো, ইমিটেশন, কাপড়ের দোকান, মোবাইলের দোকান, খাবারের দোকান গজিয়ে উঠেছিল। এ বিষয়ে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, পুরসভার মদতেই ওই এলাকা দখল করে ব্যবসা চলছে। অথচ ডায়মন্ড হারবারে কোনও স্থায়ী বাজার নেই। একটি স্থায়ী বাসস্ট্যান্ডও নেই। ওই জমিতে এগুলি তৈরি করার উদ্যোগী হোক সরকার। বাসস্ট্যান্ডের অভাবে মানুষের যাতায়াতে খুব অসুবিধা হয়। দখলদারি হটাতে স্থানীয় সংগঠন থেকে আন্দোলনও হয়েছে। কিন্তু কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ডায়মন্ড হারবার মহকুমাশাসক সুকান্ত সাহা বলেন, ‘‘সরকারি জমিগুলির দখলদারি হটাতে অভিযানে নামা হয়েছে। জমি ফাঁকা করার পর বাজার কমপ্লেক্স, বাস স্ট্যান্ড বা অন্য কিছু করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে।’’মঙ্গলবার সকালে পুরসভা, পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্মীরা ওই দোকানিদের জানিয়ে দেন, বেআইনি দখলদারি ভেঙে ফেলা হবে। সেই মতো আপনাদের মালপত্র সরিয়ে নিন। মেশিন দিয়ে দোকান উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়। ওই কাজ চলে গভীর রাত পর্যন্ত। পরপর ১২টি বড় দোকানের পিছনের অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এ দিকে দোকানিরাও পড়েছেন বিপদে। আচমকা দোকান ভেঙে ফেলায় জিনিসপত্র ঠিকঠাক সরিয়ে নিতে পারেনি বলে জানান তাঁরা। ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ, দোকানঘরের পাশাপাশি ওই জমিতে চারটি বসত বাড়ি ছিল। ওই বাড়িগুলির লোকজন এখন প্রায় নিরাশ্রয় হয়ে পড়েছেন। ডায়মন্ড হারবার নতুন পোল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য আব্দুল হাই লস্কর, শ্যামল হালদারেরা জানালেন, তাঁরা প্রায় কুড়ি বছর আগে দোকানের কিছুটা অংশ বাড়িয়ে ছিলেন। আচমকা এ ভাবে তাঁদের দোকানের পিছনের অংশ ভেঙে ফেলায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তাঁদের কথায়, ‘‘আমরা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে আলোচনা করে মহকুমাশাসককে জানাব। আচমকা উচ্ছেদের ফলে গৃহহীন হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার। তাঁদের অন্যত্র ব্যবস্থার কথাও তাঁরাও বলবেন।’’
এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওই বেআইনি দখলদারি হটাতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়েছি। দোকান উচ্ছেদের পর ফাঁকা জমিতে কী হবে সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy