ভাঙড়ের জিরেনগাছা হাসপাতালে এখানে ছিল ফুলের বাগান। এখন সেখানে চরছে গরু-ছাগল। —নিজস্ব চিত্র।
গত শীতেও এখানে ফুটেছিল ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, দোপাটি। বিভিন্ন মরসুমি ফুলে-ফলে সেজে উঠেছিল বাগান। এখন তা ধু ধু মাঠ, চড়ে বেড়াচ্ছে গরু-ছাগল। এমনই অবস্থা ভাঙড় ২ ব্লকের জিরেনগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় এখানে ফুলের বাগান তৈরি করেছিলেন ভগবানপুর পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান রেজিনা খাতুন। সেই বাগানের শোভা রোগীর পরিজনের মানসিক অবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করত। কিন্তু দীর্ঘ দিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাগানের ফল-ফুলের গাছ শুকিয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত ও ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এত অর্থ ব্যয়ে নির্মিত বাগান শুধুমাত্র পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গোটা হাসপাতাল চত্বর আগাছায় ভরে গিয়েছে। আগে রোগীর পরিজনেরা ওই বাগানে বসে সময় কাটাতে পারতেন। এখন সেই জায়গায় আবর্জনা।
স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ারা বিবি, লক্ষ্মণ পাল জানান, হাসপাতালের আগের সেই মনোরম পরিবেশ এখন নেই। সাপ, পোকামাকড়ের আস্তানায় রূপান্তরিত হয়েছে সেই বাগান। হাসপাতালের সুন্দর পরিবেশ আগের মতো ফিরিয়ে আনা হোক, এটাই চান তাঁরা।
রেজিনা খাতুনের স্বামী ইব্রাহিম মোল্লা (বাপি) বলেন, “সে সময়ে একশো দিনের কাজের টাকায় ও পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে হাসপাতালে ফুলের বাগান তৈরি করা থেকে শুরু করে জঙ্গল পরিষ্কার করা হত। মিমি চক্রবর্তীর সাংসদ তহবিলের টাকা থেকেও হাসপাতালে আলো ও আরও কিছু কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হওয়ার পর থেকে ওখানে আর কোনও কাজ হচ্ছে না। কেউ নজর দিচ্ছেন না। আমরা দায়িত্বে না থাকার ফলে পরিচর্যার অভাবে এই দশা।”
অভিযোগ অস্বীকার করে ভগবানপুর পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধানের স্বামী তথা ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য খয়রুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও আমরা পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে সম্প্রতি হাসপাতালের আগাছা পরিষ্কার করেছি। কোন তহবিলের টাকা থেকে হাসপাতালে নতুন করে বাগান তৈরি করা যায়, তা দেখা হচ্ছে। একশো দিনের কাজের টাকা পেলে এ কাজে সুবিধা হত।”
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হিরণ্ময় বসু বলেন, “পঞ্চায়েতের তরফে করা হাসপাতালের ওই ফুলের বাগান এখন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বর্তমান পঞ্চায়েত সম্প্রতি হাসপাতাল চত্বরের আগাছা পরিষ্কার করে দিয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে জানিয়েছে, একশো দিনের কাজের টাকা তাঁরা পাচ্ছেন না বলেএই পরিস্থিতি। হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার করার জন্য আমি ব্লক প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy