এই হাল হয়েছে পুকুরের।— নিজস্ব চিত্র।
ক্যানিংয়ের বহু সাঁতারু কিছু দিন আগে পর্যন্ত যে পুকুরে সাঁতার শিখে জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় সুনাম কুড়িয়েছেন, সেই পুকুরের অবস্থা ইদানীং নেহাতই খারাপ। সমস্যায় পড়েছেন ৫০-৬০ জন উঠতি সাঁতারু।
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে হাসপাতালের নিজস্ব দু’টি বড় বড় পুকুর রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেগুলি সংস্কার হয় না। কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। পুকুরের মধ্যে ফেলা হচ্ছে নোংরা আর্বজনা। যা থেকে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে।
জাতীয় স্তরের সাঁতারু তথা স্থানীয় প্রশিক্ষক কাশীনাথ কয়াল বলেন, “ক্যানিংয়ে কোনও সুইমিং পুল নেই। অথচ এলাকার অনেকেই জাতীয় স্তরের সাঁতার প্রতিযোগিতায় সুনাম অর্জন করেছে। হাসপাতালের ওই পুকুরে অনুশীলন করে এলাকারই ঈশান ঢালি, বরুণ মণ্ডল, অসীম মণ্ডল, শান্তনা মণ্ডলরা জাতীয় স্তরে প্রতিনিধিত্ব করেছন। কিন্তু এখন আর ওই পুকুরে কেউ সাঁতার কাটতে পারেন না।” তিনি নিজেই বার কয়েক পুকুরে চুন দিয়ে সংস্কার করেছেন বলে জানালেন। ক্যানিং হাসপাতাল পাড়ার বহু মানুষই পুকুর দু’টির উপরে নির্ভরশীল ছিলেন। তাঁরাও পড়েছেন বেকায়দায়। স্থানীয় বাসিন্দা রুনা কয়াল, শ্যামল মণ্ডলরা বলেন, “আমরা ওই পুকুরের জল ব্যবহার করতাম। কিন্তু এখন আর পারি না। পুকুর দু’টি দ্রুত সংস্কার করা হলে আমরা উপকৃত হব।”
কয়েক দিন আগে হাসপাতালের সিটিস্ক্যান মেশিনের উদ্বোধনে এসে বিধায়ক নির্মল মাঝি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, “পুকুর দু’টিকে যদি মাছ চাষের জন্য লিজ দেওয়া হয়, তা হলে হাসপাতালের কল্যাণ সমিতির তহবিলে বেশ কিছু টাকাও আসবে।” হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, “সংস্কারের বিষয়ে রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে আলোচনা হবে। হাসপাতালের নিজস্ব কোনও তহবিল থাকলে পুকুর দু’টি সংস্কার করা সম্ভব হত। বিষয়টি মহকুমাশাসককেও জানানো হয়েছে।” মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, “বিষয়টি নজরে এসেছে। কোনও প্রকল্পে পুকুর দু’টি সংস্কার করা যায় কিনা, দেখা হচ্ছে। জেলাতেও প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy