জখম হওয়া আইএসএফ সমর্থকেরা। ছবি: নির্মল বসু
ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের তিন সদস্যের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে দেগঙ্গার হাসিয়া গ্রামে এই ঘটনায় ২ মহিলা-সহ ৫ জন জখম হয়েছেন। অভিযোগ, ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার জেরেই হামলা চালায় তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও তার সঙ্গীরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাতেই দেগঙ্গা থানায় বিক্ষোভ দেখান ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কর্মী, সমর্থকেরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে। পুলিশ দ্রুত দোষীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, হাসিয়া গ্রাম থেকে এ দিন ব্রিগেডে সংযুক্ত মোর্চার জনসভায় গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন আইএসএফ সমর্থক। অভিযোগ, রাতে ব্রিগেড থেকে বাড়ি ফেরার পর আক্তারুল বিশ্বাস, আক্তারুল জামান ও ফয়রুল রহমান মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রবিউল ইসলাম ও তার সঙ্গীরা। তঁদের মারধর করা হয়। ভাঙচুরে বাধা দিতে গেলে মহিলাদেরও মারা হয়। জখম হন রহিমা বিবি এবং রঙ্গিলা বিবি নামে দুই মহিলা।
জখম আইএসএফ সমর্থক তথা দলের দেগঙ্গা ১ অঞ্চলের নেতা আক্তারুল জামানের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমার ছেলে আব্বাস সিদ্দিকীর জনসভায় গিয়েছিল বলে রাতে বাড়ি ফিরতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা রবিউল ইসলাম দলবল নিয়ে এসে বাড়িতে হামলা চালায়। ছেলেকে মাটিতে ফেলে মারধর করে। আব্বাসের দল করলে গ্রামে থাকতে দেবে না বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। তৃণমূল না করলে মাছের ভেড়ি লুঠেরও হুমকি দেয়।” ফজরুলের বাবা সওকত আলি মণ্ডল বলেন, “ছেলে ভাইজানের ভক্ত। তাই বিগ্রেডের সভায় গিয়েছিল। সেই অপরাধে ছেলে ও তার পরিবারের উপর এভাবে হামলা চালাল রবিউল।”
আইএসএফের জেলা সম্পাদক কুতুবউদ্দিন ফাতেয়া বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তৃণমূল আমাদের কর্মীদের মারধর করে মাথা ফাটিয়েছে। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি দুই মহিলাকে মারধর করেছে। আমরা অপরাধীর শাস্তি দাবি করছি। পায়ের তলার মাটি আলগা হয়ে যাচ্ছে বুঝেই ভয়ে ভাইজানের কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল।”
অভিযুক্ত রবিউল অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ দিন বাড়িতে না পেয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “দু’দিন হল আমি দিঘায় বেড়াতে এসেছি। কার সঙ্গে কার গণ্ডগোল হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানি না। মনে হয় আমাকে কেউ মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসাতে চাইছে।” তৃণমূলের দেগঙ্গা ব্লক সভাপতি অরূপ বিশ্বাস বলেন, “এ ধরনের হামলা খুব নিন্দনীয়। যদি প্রমাণ হয় রবিউল হামলায় যুক্ত ছিল, তা হলে জেলা নেতৃত্ব তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। তবে কেউ মিথ্যা অভিযোগ করলে পার পাবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy