Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Joynagar Murder Case

জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনে আটক ‘সিপিএম কর্মী’! পুলিশের ধারণা, ধৃত আনিসুরই ‘মাস্টারমাইন্ড’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আনিসুরই ‘মাস্টারমাইন্ড’। তিনি দলুয়াখাকির বাসিন্দা। নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, সেখানেও নাম রয়েছে আনিসুরের।

image of saifuddin

বাঁ দিক থেকে সইফুদ্দিন লস্কর, আনিসুর লস্কর। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জয়নগর শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:১০
Share: Save:

জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে আটক করল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মূল অভিযুক্ত আনিসুর লস্কর। নদিয়ার হরিণঘাটা থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে। বাকি চার জনের পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠক করে পরে প্রকাশ করা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আনিসুরই ‘মাস্টারমাইন্ড’। তিনি দলুয়াখাকির বাসিন্দা। নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, সেখানেও নাম রয়েছে আনিসুরের। পুলিশ সূত্রে খবর, জয়নগরকাণ্ডে ধৃত শাহরুল শেখ যে ‘বড়ভাই’-এর কথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তাঁর নাম আলাউদ্দিন সাঁপুই। তিনি মন্দিরবাজার থানা এলাকার টেকপাঁজা গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় আলাউদ্দিন সিপিএম নেতা হিসাবে পরিচিত।

তদন্ত চলাকালীন পুলিশ জানতে পেরেছে, যাঁর বাড়িতে লুকিয়ে থেকে ধৃত শাহরুল তৃণমূল নেতার গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন, তিনি চালতাবেড়িয়ার বাসিন্দা। নাম মোতালেফ। তিনিও এলাকায় সিপিএম কর্মী হিসাবে পরিচিত। খুনের সময় যে বাইক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা মসিবুর রহমান লস্করের নামে। তাঁর পরিবারও সিপিএমের সমর্থক। এঁরা প্রত্যেকেই ঘটনার পর থেকে বাড়িছাড়া। প্রত্যেকের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।

সইফুদ্দিন খুনের পিছনে যে ভাড়াটে খুনি রয়েছে, তা আগেই আন্দাজ করেছিলেন তদন্তকারীদের একাংশ। পুলিশ মনে করছে, খুনের আগে রীতিমতো পুরো এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হয়। সবটাই পরিকল্পনামাফিক। আততায়ীদের গুলি করার দিনক্ষণ এবং অপারেশনের ধরন দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, খুনের নেপথ্যে কোনও ‘পাকা মাথা’ রয়েছে। তবে এই ‘পাকা মাথা’ যে নাসিরই, তা খোলসা করেনি পুলিশ। সূত্রের খবর, এর আগে তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছিলেন জয়নগরকাণ্ডের ‘পাকা মাথা’ আদতে নাসির হালদার নামে টেকপাঁজা গ্রামের এক বাসিন্দা। ধৃত শাহরুলের বয়ানে উঠে এসেছিল নাসিরের নাম। শাহরুলের দাবি, সইফুদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন এই নাসিরই। গুলি চালিয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা খুনের পর সাহাবুদ্দিনকে পিটিয়ে মারা হয়।

মঙ্গলবার পর্যন্ত নাসিরের সম্পর্কে বিশেষ তথ্য ছিল না পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশের সূত্রে বুধবার জানা গিয়েছিল, শাহরুল জেরায় জানিয়েছেন, কলকাতায় পুরনো জিনিসপত্র কেনা-বেচার কাজ করতেন এই নাসির। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে নাসিরের পরিবার। তাঁর পরিবারের দাবি, নাসিরকে ইচ্ছা করে ফাঁসানোর জন্যই তাঁর নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সইফুদ্দিন খুনের পর থেকে নাসিরেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার মধ্যেই আটক আনিসুর-সহ পাঁচ জন।

অন্য বিষয়গুলি:

CPM Baruipur Police TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy