প্রতীকী ছবি।
হুগলির দাগি দুষ্কৃতী বিশাল দাসকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ক্যানিংয়ের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাকে ধরা হয় ক্যানিং থানার মাতলা সেতুর কাছ থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম জাকির পুরকাইত। তার বাড়ি ক্যানিংয়ের মিঠাখালি এলাকায়। তার বিরুদ্ধে একাধিক খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ১১ অক্টোবর হুগলির বৈদ্যবাটিতে ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন হন বিষ্ণু মাল। ওই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল বিশাল দাস। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুই সঙ্গী রথীন সিংহ ও বিপ্লব বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া এলাকায় চলে আসে বিশাল। তাকে আশ্রয় দেয় জাকির পুরকাইত নামে ক্যানিংয়ের ওই দুষ্কৃতী। জেলে বিশালের সঙ্গে জাকিরের পরিচয় হয়েছিল। সেই সুবাদে গত দু’বছর ধরে বিশাল ও তার সঙ্গী-সাথীরা ক্যানিং, বাসন্তী, জীবনতলা থানা এলাকায় যাতায়াত করত। হুগলিতে অপরাধ ঘটিয়ে জাকিরের হাত ধরে ওই সমস্ত এলাকায় গা ঢাকা দিত। মেছোভেড়ির নির্জন আলাঘর ছিল তাদের লুকিয়ে থাকার জায়গা। বিশাল ও তার দুই সাগরেদ বিষ্ণু মালকে খুন করে এ বারও জাকিরের কাঁঠালবেড়িয়ার মেছোভেড়িতে কয়েক দিন কাটিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
আগেও বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মেছোভেড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা আমাদের অনেক বেশি সচেতন করে দিয়েছে। এ বার থেকে যাতে কোনও বহিরাগত মেছোভেড়িগুলিতে আশ্রয় নিতে না পারে, সে জন্য পুলিশ, ভেড়ি মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হচ্ছে। ভেড়িতে নৈশপ্রহরী বা কাজের লোক নিতে হলে তার ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ফোন নম্বর থানায় জমা দিতে হবে। কোন অপরিচিত মুখ এলাকায় দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া কথা বলা হচ্ছে।’’
বিশাল ও তার দুই সাগরেদেকে বুধবার পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন আলিপুর আদালতের বিচারক। জাকির-সহ ধৃত বাকি তিনজনকে পাঠানো হয়েছে জেল হেফাজতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy