—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রী ও লিভ-ইন পার্টনারকে নিয়ে একই বাড়িতে থাকতেন বর্তমানে জেলবন্দি বাবু হালদার। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী বাবুর ছিল আরও একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক। তাতে বাধা পেয়েই একত্রবাসের সঙ্গিনী মিতা গায়েনের উপর হামলা করেন বাবু। অস্থায়ী পুর কর্মী গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম বার মুখ খুলে বিস্ফোরক দাবি করলেন বাবুর একত্রবাসের একদা সঙ্গিনী মিতা।
গড়িয়ায় লিভ-ইন পার্টনারকে প্রকাশ্যে ছুরি মারার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে চলে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বাবুকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ৷ এই প্রেক্ষাপটে মুখ খুলেছেন মিতা। তাঁর বক্তব্য, স্বামী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর স্বামীরই বন্ধু সোনারপুরের সুভাষগ্রামের বাসিন্দা বাবুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়৷ বাবু মিতাকে নিয়ে গিয়ে নিজের বাড়িতে তোলেন। তার পর থেকে মিতা এবং বাবুর স্ত্রী— একই সঙ্গে এক বাড়িতেই থাকতেন৷ পরবর্তী কালে অবশ্য মিতার জন্য আলাদা বাড়ির ব্যবস্থা করেন বাবু৷
মিতার অভিযোগ, বাবু অল্পেতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। শুধু নিজের স্ত্রী এবং তিনি নন, একই সঙ্গে পুরসভার অস্থায়ী কর্মী বাবু আরও একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তার তীব্র প্রতিবাদ করেন মিতা। তা নিয়ে মিতার সঙ্গে বাবুর নিত্য বিবাদ চলত। কিন্তু বাবুর চরিত্র বদল হয়নি। মিতার দাবি, শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে তিনি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না বাবু। মিতার অভিযোগ, তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া চলাকালীনই মিতার উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাবু। ভাড়া বাড়ির ঘরের চাবি দেওয়ার নাম করে মিতাকে ডেকে এনে ছুরি দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি আঘাত করা হয়। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন মিতা৷ পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মিতার আরও অভিযোগ, এই ঘটনার পর থেকে বাবু পলাতক থাকলেও মাঝেমধ্যেই তাঁকে হুমকি দিতেন। বিষয়টি থানায় জানান মিতা৷ অবশেষে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার দাসপাড়া থেকে বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy