Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Onion

আলু-পেঁয়াজের বীজের চড়া দাম, চাষে অনীহা অনেকের

দেগঙ্গা, বসিরহাট, স্বরূপনগর থেকে বীজ হাটে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চাষিরা সেই বীজ কিনতে চাইছেন না।

বিক্রি কম। চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। নিজস্ব চিত্র

বিক্রি কম। চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। নিজস্ব চিত্র

নির্মল বসু
বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৪৯
Share: Save:

হাফ সেঞ্চুরির পথে আলুর দাম। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। এ ভাবে দাম বাড়ায় গৃহস্থের হেঁসেল ঠেলতে নাভিশ্বাস উঠেছে। শুধু তাই নয়, বেড়েছে বীজের দামও। মুখ ফেরাচ্ছেন চাষিরাও।

এ বছর আলু এবং পেঁয়াজ চাষে অনীহা প্রকাশ করেছেন চাষিরা। তার জেরে বীজ আলু ও পেঁয়াজ বিক্রির জন্য হাটে এনে ঘুমিয়ে কাটাতে হচ্ছে বীজ ব্যাপারীদের। কারণ, তাঁরা ক্রেতা পাচ্ছেন না।

দেগঙ্গা, বসিরহাট, স্বরূপনগর থেকে বীজ হাটে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চাষিরা সেই বীজ কিনতে চাইছেন না। চাষিদের দাবি, আগামী বছর আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনের বড় রকম ঘাটতির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এ দিকে, সরকারি ভাবে আলু কেজি প্রতি ২৫ টাকা ঘোষণা করা হলেও বর্তমানে এক কেজি আলুর দাম ৪৪ টাকা ছাড়িয়েছে। পেঁয়াজ বিকোচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, আরও বাড়তে পারে আলু-পেঁয়াজের দাম।

কেন আলু ও পেঁয়াজ চাষের প্রতি অনীহা?

আকবর আলি, সুকুমার সর্দার, হান্নান আলি জানান, গত বছর আলু চাষ করার পরে জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। সে কারণে আলুর দাম মেলেনি বলে বিলিয়ে দিতে হয়েছিল। কেউ কেউ দু’টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতেও বাধ্য হয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের দিকে ফিরে তাকায়নি সরকার। এ বছর বীজ আলু ও পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এই অবস্থায় বীজ রোপণ করে সঠিক দাম মিলবে না বলে আশঙ্কা। ফলে ফের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে। তাই তাঁদের মতো বহু চাষি আলু ও পেঁয়াজ চাষের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

দেগঙ্গার হাটে সপ্তাহে দু’দিন আলু ও পেঁয়াজের বীজ বিক্রি হয়। বাদুড়িয়া মলয়পুরের আতিয়ার মণ্ডল এসেছিলেন বীজ বিক্রি করতে। আতিয়ারের দাবি, ক্রেতা না থাকায় ঘুমিয়ে কেটেছে সারাদিন। তাঁর কথায়, ‘‘মাপ অনুসারে আলু বীজ এ বছর ৭০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। যা গত বছর ছিল ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। দাম শুনে চাষিরা নিতে চাইছেন না।’’ দেগঙ্গার বেলিয়াঘাটা থেকে আসা ইউসুফ আলি বলেন, ‘‘গত বছর পেঁয়াজের বীজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এ বছর সেই বীজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্রেতারা দাম শুনে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।’’ বেড়াচাঁপা বাজারের আনাজ বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘এখন বাজারে রাজস্থানের পেঁয়াজ, নাসিকের পেঁয়াজ বলে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় হিমঘরের পেয়াঁজ মিলছে না। ফলে চড়া দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Onion Potato High Price Farmers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy