প্রতীকী ছবি
মোবাইলে আসা শেষ ফোনে সে কথা বলেছিল ছ’মিনিট। তার পরেই মনমরা হয়ে যায় বছর চোদ্দোর কিশোরী। সে দিনই সন্ধ্যায় ঘর থেকে উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত দেহ। রাতে পরিবারের তরফে ওই কিশোরীর মোবাইলের কল তালিকা-সহ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু তার পরে এক সপ্তাহের বেশি কেটে গেলেও অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মৃতার পরিজনেরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত গত ২৩ জুলাই। মধ্যমগ্রাম থানা এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকার মৃত্যুর পরে পরিজনেরা অভিযোগ করেন, প্ররোচনা দেওয়ার ফলে সে আত্মঘাতী হয়েছে। নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী ক্যারাটেতে দক্ষ ছিল। সম্প্রতি সে ‘ব্ল্যাক বেল্টও’ পেয়েছিল বলে দাবি পরিবারের।জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর বাবা পেশায় অটোচালক। মা একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। দু’জনে প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন। দুপুরে মেয়েটির বাবা খাওয়ার জন্য বাড়ি ফিরলেও মা ফিরতেন সন্ধ্যায়। কিশোরীর মা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন দুপুরে বাড়ি ফিরেছিলেন তাঁর স্বামী। খাওয়া সেরে ফের কাজে বেরিয়ে যান। সেই সময়ে পাশের বাড়িতে খেলছিল মেয়ে। সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ প্রতিবেশীরা নিজের ঘরে ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ দেখে তার মা-বাবাকে খবর দেন।
মৃতার মা জানিয়েছেন, ঘটনার পরে মেয়ের মোবাইল ফোন ঘাঁটতে গিয়ে তিনি দেখেন, একটি নির্দিষ্ট নম্বর থেকে একাধিক বার ফোন এসেছে। মহিলার কথায়, ‘‘পরে আমরা জানতে পারি, আগরপাড়ার বাসিন্দা এক কিশোরের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মেয়ের। আমরা কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরে ছেলেটি মাঝেমধ্যে বাড়িতেও আসত। কিন্তু সেই সম্পর্কে সম্প্রতি টানাপড়েন তৈরি হয়। মেয়ের মোবাইলে শেষ ফোন এসেছিল ওই নম্বর থেকেই।’’
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, সমস্ত তথ্য পুলিশকে জানানো হয়েছে। ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহের বেশি। তা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যদিও এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, ‘‘তদন্তের জাল গোটাতে তথ্য সংগ্রহ চলছে। ঘটনার পিছনে কারও হাত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy