দাঁড়িয়ে রয়েছে ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স। কচুবেড়িয়া ঘাটে। নিজস্ব চিত্র
সাগরদ্বীপ থেকে করোনা পজ়িটিভ রোগীকে মুড়িগঙ্গা নদী পারাপার করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে পরিবারকে। অথচ, গত কয়েক দিনে ক্রমশ বাড়ছে এই দ্বীপভূমিতে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের করোনা পজ়িটিভ মিলেছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগর দ্বীপে করোনা হাসপাতাল নেই। পজ়িটিভ রোগী ধরা পড়লে তাঁকে পাঠাতে হয় কাকদ্বীপের লট ৮ সেফ হোমে। সেখানে রয়েছে চিকিৎসার ব্যবস্থা। প্রয়োজনে রোগীকে সেখান থেকে অন্যত্র পাঠানো যায়। কিন্তু নদী ঘেরা ওই দ্বীপ থেকে কাকদ্বীপে রোগীকে পাঠাতে হলে সাগরের কচুবেড়িয়া ঘাট থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার চওড়া মুড়িগঙ্গা নদী ট্রলারে পার হতে হয়।
সেখানেই সমস্যা।
সাধারণ রোগীদের পারাপারের জন্য রয়েছে সরকারি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্ত করোনা পজ়িটিভ রোগীর পারাপারের কোনও বিশেষ পরিবহণ না থাকায় সঙ্কটে পড়ছে পরিবার। ব্যতিব্যস্ত হতে হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মীদেরও।
অনেক ক্ষেত্রে রুদ্রনগর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে পজ়িটিভ রোগীকে ঘাটে নিয়ে গিয়ে ব্যক্তি মালিকানার ট্রলারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তাতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।
পজ়িটিভ রোগী নদী পারাপারের জন্য ঘাটে আসছেন, তা নৌকো বা ট্রলারের মাঝিরা জানতে পারলে ধারেকাছে ঘেঁষছেন না। অন্যরা জানতে পারলেও আতঙ্কে ভুগছেন। সাগরের কচুবেড়িয়ার ঘাটের কাছে দোকান আছে সুবিমল জানা, অলোক দাসদের। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘রুদ্রনগর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে রোগীকে এনে ঘাটের কাছে অনেক সময়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। ভয়ে আমরা সিঁটিয়ে যাই। নদী পথে কোনও সরকারি পরিবহণ না থাকায় সমস্যা বেড়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স সরিয়ে দাঁড় করানোর জন্য আমরা বলি। কিন্ত কোনও কথায় কেউ কান দেয় না।’’
পজ়িটিভ রোগী পারাপার নিয়ে এক ট্রলারের মাঝির বক্তব্য, ‘‘একজন রোগীকে পার করানোর পরে পুরো ট্রলার স্যানিটাইজ় করতে অনেক সময় লেগে যায়। আমাদের নিজেদেরও ভয় লাগে। তাই কোনও পজ়িটিভ রোগী পারাপার করতে চায় না কেউ। প্রশাসনের ধমকে হয় তো কাজ হয়। কিন্তু আমাদের জন্য তো কেউ পিপিই কিটও দেয় না।’’
সাগরের বিএমওএইচ পুলকেন্দু ঘোষ সমস্যার কথা মেনে নেয়ে বলেন, ‘‘আমরা ট্রলার ভাড়া করে রোগী পাঠাই। রোগী প্রতি ২ হাজার টাকা করে নেয়। রোগীকল্যাণ সমিতির ফান্ডের টাকা দিয়েই পারাপার চলছে। সরকারি পরিবহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’
ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্সে পারাপারের বিষয়ে জেলা সভাধিপতি শামিমা শেখ বলেন, ‘‘ওই ধরনের অ্যাম্বুল্যান্সের চালক পজ়িটিভ রোগী পারাপার করতে না চাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। শীঘ্রই চালক পরিবর্তন করে সমাধান করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy