প্রতীকী ছবি।
জ্যোতিষীর ভেক ধরে এক যুবতীকে পাথর দেওয়ার নামে ধর্ষণের অভিযোগে মধ্যবয়সি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবতীকে চাকরির জন্য পাথর ধারণ করার প্রলোভন দেখিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠায় সে। অভিযোগ, এর পর যুবতীকে মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে সংজ্ঞাহীন করে ধর্ষণ করে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় গোপালনগরের পার্লার এলাকার বাসিন্দা শম্ভু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বছরখানেক আগে হরিণঘাটা থানার নগরউখড়ার এক যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল শম্ভুর। সেই সময় ওই যুবতীর কাছে নিজেকে জ্যোতিষী বলে পরিচয় দিয়েছিল সে। তবে আসলে সে পুরোহিতের কাজ করে।
পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন চাকরির চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ২৯ বছরের ওই যুবতী। সে সুযোগই কাজে লাগায় শম্ভু। তার কাছ থেকে পাথর ধারণ করলে যুবতীর চাকরি হয়ে যাবে বলে দাবি করেছিল সে। বনগাঁ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সমীর দাসের দাবি, ‘‘৫৭ বছরের ওই ভুয়ো জ্যোতিষী বিবাহিত হলেও ওই যুবতীকে বিয়ে করতে চায়। জ্যোতিষী সেজে এর আগেও যুবতীকে পাথর দিয়েছে। পাথর ধারণ করলে ভাল চাকরি হবে, এই ভাঁওতা দিয়ে গত কাল (বৃহস্পতিবার) রাতে যুবতীকে তার বাড়িতে ডাকে। এর পর মেয়েটিকে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক জাতীয় কিছু মিশিয়ে দেয়। সংজ্ঞাহীন হয়ে গেলে তাঁকে ধর্ষণ করে। পাড়ার লোক জানতে পেরে চড়থাপ্পড় মেরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।’’
সরকারি কৌঁসুলির আরও দাবি, ‘‘যুবতীকে বিয়ে করার ইচ্ছেয় মাস দেড়েক আগে নিজের স্ত্রী-কেও খুন করতে চেয়েছিল শম্ভু। সেই সময় সুযোগ বুঝে ঘুমন্ত স্ত্রী-র গায়ে ইলেকট্রিক তার পেঁচিয়ে তাঁকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, দেড় মাস আগেকার সেই ঘটনার পর শম্ভুর স্ত্রী তাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। যদিও সে ঘটনায় শম্ভুর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেননি।
শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, গোপালনগর থানায় শম্ভুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ওই যুবতী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শম্ভুকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy