রুজির টানে গ্রাম থেকে এসে বারাসতে পুজোয় দোকান দিয়েছেন শিক্ষিত যুবকেরাও। বারাসত নবপল্লিতে ছবিটি তুলেছেন সুদীপ ঘোষ
রোজগারের আশায় মেলায় দোকান দিচ্ছেন বিএ-এমএ পাশ যুবকেরা।
কালী পুজো উপলক্ষে বড় মেলা বসে বারাসতে। দোকানপাট প্রচুর। পুজোর সপ্তাহখানেক আগে থেকেই দোকান তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানেই খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দোকান দিতে আসা যুবকদের অনেকে উচ্চশিক্ষিত। পড়াশোনা শেষ করে চাকরিবাকরি মেলেনি। তাই ছোটখাট ব্যবসায় নেমেছেন।
আমডাঙা, দেগঙ্গা ও বারাসত ১ ব্লকের অনেক অংশ কৃষিনির্ভর। তরুণ প্রজন্ম কৃষিকাজ করতে চায় না। অনেকেই পড়াশোনা করেছিলেন চাকরির আশায়। কিন্তু চাকরি না পেয়ে ঝুঁকেছেন ব্যবসার দিকে। অল্প পুঁজিতে পুজো ও মেলায় খাবারের দোকান দিয়ে আয়ের চেষ্টা করছেন। চপ, চাউমিন, এগরোলের মতো খাবার তো আছেই, মাছ ও মাংসের কচুরি, মহিষের দুধের চা-কফি, ঘি দিয়ে ভাজা রোল-সহ নানা নতুন খাদ্য সামগ্রীর স্টলও দিয়েছেন কেউ কেউ। বারাসতের কেএনসি রোডে দোকান দিয়েছেন দেগঙ্গার অরুণ মণ্ডল। তিনি বলেন, “ইংরেজিতে এমএ পাশ করেছি। এলাকায় গৃহশিক্ষকতা করতাম। গরিব এলাকায় পড়িয়ে নিজের হাত খরচের বেশি আয় হয় না। পঞ্চাশ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে খাবারের ব্যবসায় নেমেছি।” আর এক ব্যবসায়ী শ্যামল ঘোষ বলেন, “বিএ পাশ করে খাবারের দোকান দিচ্ছি পুজো ও মেলায়। বেশ কিছু নতুন পদের খাবার তৈরি শিখেছি। আশা করি, লোকজন খেয়ে উপভোগ করবেন।” কৃষ্ণনগর রোডের ধারে লালি সিনেমা হল এলাকায় খাবারের দোকান দিয়েছেন আমডাঙার বিধান সরকার।
তিনি বলেন, “ইতিহাসে এমএ পাশ করে চাকরির চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এ রাজ্যে আমাদের জন্য চাকরি নেই। ভাজাভুজির ব্যবসা শুরু করেছি। মাছ ও মাংসের কচুরি তৈরি শিখেছি। অন্যান্য তেলেভাজার সঙ্গে নতুন পদের খাবার অনেকে পছন্দ করবেন বলে আশা।” নবপল্লি মোড়ে চায়ের দোকান দিয়েছেন দত্তপুকুরের মিলন ঘোষ। তাঁর কথায়, “বিএ পাশ করে এলাকার বন্ধুদের নিয়ে নানা স্বাদের চায়ের ব্যবসা শুরু করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy