Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Drinking Water Crisis

ওয়াটার এটিএম থাকতেও বেআইনি ভাবে পানীয় জলের ব্যবসা! অভিযোগ বসিরহাট সুপার স্পেশালিটিতে

২০২০ সালে এই হাসপাতালে ওয়াটার এটিএম বসায় বসিরহাট পুরসভা। মাঝে দীর্ঘ দিন তা খারাপ হয়ে পড়েছিল। ২০২২ সালের শেষের দিকে আবার ওয়াটার এটিএমটি মেরামত করে পরিষেবা চালু করা হয়।

—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪ ২৩:২১
Share: Save:

হাসপাতালে রোগীর পরিবার-পরিজনের জন্য রাখা রয়েছে সরকারি ‘ওয়াটার এটিএম’। যেখানে মাত্র দু’টাকাতেই মেলে এক লিটার পানীয় জল। কিন্তু এই ওয়াটার এটিএমের কাউন্টার থেকেই দেদার বিকোচ্ছে বিভিন্ন নামী কোম্পানির জলের বোতল! শুধু তা-ই নয়, ওয়াটার কাউন্টারের কর্মীই এই বেআইনি ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন! এমনই অভিযোগ উঠল বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

২০২০ সালে এই হাসপাতালে ওয়াটার এটিএম বসায় বসিরহাট পুরসভা। মাঝে দীর্ঘ দিন তা খারাপ হয়ে পড়েছিল। ২০২২ সালের শেষের দিকে আবার ওয়াটার এটিএমটি মেরামত করে পরিষেবা চালু করা হয়। অভিযোগ, এখন ওয়াটার এটিএম কাউন্টার থেকে বিভিন্ন সংস্থার জল বিক্রি হচ্ছে। ৫০০ মিলিলিটারের বোতলের দাম ১০ টাকা। এক লিটারের দাম ২০, দু’লিটার ৩০ এবং পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। হাসপাতাল চত্বরে কোনও দোকান বসানোর অনুমতি থাকে না। তার পরেও কী ভাবে পানীয় জলের ব্যবস্থা চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ওয়াটার এটিএমের কর্মচারী বলরাম দাস।

বলরাম বলেন, ‘‘বাইরের জল বিক্রি করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা পুরসভা কোনও অনুমতি দেননি। নিজে থেকেই এই ব্যবসা শুরু করেছি।’’

এ বিষয়ে বসিরহাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুবীর সরকার বলেন, ‘‘আমরা অবিলম্বে পরিদর্শনে যাব এবং এই ব্যবসা আমরা বন্ধ করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Drinking Water Crisis Drinking water Basirhat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE