‘দিদির দূত’ কর্মসূচি ঘিরে কোন্দল দেগঙ্গায়। প্রতীকী ছবি।
‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে ডাক পেলেন না তৃণমূলের ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি। প্রশ্ন উঠছে, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই কি এই ঘটনা দেগঙ্গায়?
সম্প্রতি দেগঙ্গার চাকলায় দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর উপস্থিতিতে হাতাহাতি জড়ান তৃণমূলের দু’পক্ষের লোকজন। শনিবার দেগঙ্গায় এসেছিলেন বাদুড়িয়ার বিধায়ক আব্দুর রহিম দিলু। বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন।
তবে এ দিন কর্মসূচিতে ডাক পাননি তৃণমূলের দেগঙ্গা ২ ব্লক সাংগঠনিক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতি। চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী সমস্ত দায়িত্ব সামলান।
দুই সভাপতিকে কেন ডাকা হল না?
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, সভাপতি অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে অঞ্চল সভাপতি আব্দুল রাজ্জাকের। চাঁপাতলা পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরীর সঙ্গে আবার বিবাদ রাজ্জাকের। সে কারণেই দুই নেতাকে ডাকা হয়নি।
এই ঘটনায় বেজায় চটেছেন অরূপ ও রাজ্জাক। তাঁরা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাবেন বলে মন্তব্য করেছেন।
রাজ্জাক বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি সুবিধার লোক নন। এলাকার উন্নয়নে কোনও কাজ করেননি। সব দিক থেকে তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। পঞ্চায়েতের ৩০ জন সদস্যের কেউই উপস্থিত ছিলেন না কর্মসূচিতে।’’
রণখোলা, খড়ুয়া চাঁদপুর থেকে হিন্দুপাড়া পর্যন্ত উন্নয়ন নিয়ে বহু অভিযোগ আছে বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। এই এলাকায় যাননি দিলু। এ প্রসঙ্গে রাজ্জাক বলেন, ‘‘এই এলাকাগুলিতে উন্নয়নের কাজ কিছুই হয়নি। পঞ্চায়েত প্রধান যেখানে নিয়ে গিয়েছেন বিধায়ককে, তিনি সেখানেই গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করে সবই বলেছি। উচ্চ নেতৃত্বকেও জানাব।’’
অরূপের কথায়, ‘‘জানি না কেন কর্মসূচি নিয়ে আমাকে অন্ধকারে রাখা হল। তবে পঞ্চায়েতের কিছু সদস্য ও প্রধানের মতো আমি কোনও অট্টালিকা তৈরি করিনি।’’
এলাকাটি হাড়োয়া বিধানসভার মধ্যে পড়ে। সেখানকার বিধায়ক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমার বিধানসভায় কোনও বিভাজন চাই না। এই কর্মসূচিতে কারা উপস্থিত থাকবেন, সেটা দলের তরফে ঠিক করা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে যেমন তালিকা এসেছে, তেমনই কাজ হচ্ছে। দুই সভাপতির ক্ষোভের দায়িত্ব আমি নিতে পারব না।’’ বিধায়ক আব্দুল রহিম দিলু বলেন, ‘‘চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী, হাদিপুর ঝিকরা ২ পঞ্চায়েতের প্রধান সাহাবুদ্দিন মণ্ডল, দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত বসু কর্মসূচিতে ছিলেন। অন্যদের কেন ডাকা হয়নি, জানি না। তবে এমন কর্মসূচিতে সককে ডাকা উচিত ছিল। আমি নেতৃত্বকে জানাব।’’
কী বলছেন চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী? তাঁর কথায়, ‘‘দলের নির্দেশ মেনে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কাদের ডাকা হবে, সেটা দলই ঠিক করেছে। এটা ঠিক করার আমি কেউ নই। আমার বিরুদ্ধে কে কী অভিযোগ করেছেন, সেটা তাঁদের বিষয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy